ডা. রুমি আহমেদ
আমাদের অনেকের বাবা-মা দেশে থাকেন এবং তাদের অনেকেই বয়স্ক। যে কোনো ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়া/ ভাইরাস, ফ্লু, ডেঙ্গু, কোভিড-১৯- সবকিছুর সংক্রমণের জন্য তারাই সবচেয়ে বেশি অরক্ষিত বা ঝুঁকিতে। আমার বাবাকে দেওয়া কিছু উপদেশ :
১. আগামী কয়েক সপ্তাহ বাজারে না যেতে। দরকার হলের গাড়িতে বসে থাকবেন এবং ড্রাইভার যে বয়সে একেবারে তরুণ এবং যার অসুস্থ হবার প্রবেবিলিটি অনেক অনেক কম, তাকে বাজারে পাঠাতে।
২. জামাতে গিয়ে নামাজ না পরে বাসায় নামাজ পড়তে, বিশেষ করে শুক্রবারে। দরকার হলে নিজেদের ফ্ল্যাটে নিজেরা একটা জুমার জামাতের ব্যবস্থা করে নিতে।
৩. বাসায় যারা কাজ করতে আসে তাদেরকে হ্যান্ড হাইজিন ট্রেইন করতে। ভালো করে সাবান দিয়ে হাত-মুখ-নাক না ধুয়ে কেউ বাসায় ঢুকবে না। ড্রাইভারও রেগুলার গাড়ি ক্লিন করবে সাবান দিয়ে এবং কেউই হাত না ধুয়ে গাড়িতে ঠুকবে না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করার পর ভালো করে হাত-মুখ ধুতে হবে বাইরে পড়া জামা-কাপড় ঘরে ফিরেই ধুতে দিতে হবে।
৪. বাইরের জুতা নিয়ে ঘরে ঢোকা যাবে না, যতটা সম্ভব হাত দিয়ে জুতা টাচ করা ঠিক হবে না।
৫. অ্যাপার্টমেন্টগুলোর গেট, লবি, সিঁড়ি, এলিভেটর বাটনগুলো দিনে কয়েকবার করে ক্লিন করতে হবে।
৬. কফ থুথু ফেলতে হবে টিস্যুতে এবং টিস্যুটা রাস্তায় বা খোলা জায়গায় ফেলা যাবে না। (গুডলাক উইথ দ্যাট)
৭. বাড়ির বয়স্ক মানুষদের প্রটেকশনের জন্য বাচ্চা-কাচ্চারা স্কুল থেকে ফেরার পর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। গোসল করিয়ে দিতে পারলে আরো ভালো হয়।
৮. প্যানিক করার কিছু নেই। আমাদের দেশের মানুষের হার্ড ইম্মিউনিটি অনেক শক্ত। আমরা ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, টিবি ইত্যাদি নিউক্লিয়ার বোমার সাথে লড়াই করে পোক্ত। সুতরাং এই সামান্য করোনা ভাইরাস নামের ককটেল বোমা আমাদের বড় কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
লেখক : সাবেক ছাত্র, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ; যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত