• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
নিজকে কিভাবে করোনা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করবেন?

সংগৃহীত ছবি

স্বাস্থ্য

নিজকে কিভাবে করোনা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করবেন?

  • প্রকাশিত ১১ ডিসেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের নিয়মগুলো আমরা সবাই মোটামুটি জানি। যেমন বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, ৩ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা, মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি। তবে আমাদের এখন ভাবতে হবে, যদি আমরা এ রোগে আক্রান্ত হই, তাহলে আমাদের শরীরকে কীভাবে সেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করব। করোনাভাইরাস প্যানডেমিকের রূপ ধারণ করেছে। বিভিন্ন পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী এক থেকে দেড় বছরে এই বিশ্বের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ এতে আক্রান্ত হবে। তাই যত দিন পর্যন্ত না একটি ভ্যাকসিন আমরা পাচ্ছি, আসুন সবাই নিজের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সচেতন হই। সুস্থ থাকুন, ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন, সচেতন হোন।

আপনি অল্প বয়সি বলে আপনার ঝুঁকি নেই- এমনটা ভাবা ঠিক না। আপনি যুবক হোন কিংবা বৃদ্ধ, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো- আমরা এখন কীভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারি? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে, আমরা এখন পর্যন্ত করা সমস্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য পর্যালোচনা করেছি এবং নিচের এই সাতটি সহজ পন্থা প্রস্তাব করছি :

ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করুন : এই মুহূর্ত থেকে সিগারেট ও মদ্যপান ছেড়ে দিন। এতে আপনার ফুসফুসের ক্ষমতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে।

রক্তচাপ/ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন : কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীর উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে থাকে না, যার একটা বড় কারণ হতে পারে নিয়মিত ওষুধ না খাওয়া। তাই আপনার এই রোগগুলো থাকলে এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

সবজি ও ফলমূল বেশি করে খান : পুষ্টিজনিত ঘাটতি এবং দীর্ঘমেয়াদি পুষ্টিহীনতা আমাদের দেহের সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করবে।

পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে : দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টার কম ঘুমালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই রাতের ঘুম বিসর্জন দেওয়ার উপায় নেই।

প্রতিদিন ব্যায়াম করুন : প্রতিদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটুন, একটু ফ্রিহ্যান্ড ব্যায়াম করুন। শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে ঘরের কাজ করুন।

দুশ্চিন্তা নয় : স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে। সুতরাং করোনার ভয়ে প্যানিক করে আসলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।

ডা. রাজীব চৌধুরী, সিনিয়র এপিডেমিওলজিস্ট ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড

ডা. নুসরাত খান, এপিডেমিওলজিস্ট ও ডক্টরাল রিসার্চার, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড

শামীর মোন্তাজিদ, ডক্টরাল রিসার্চার, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads