• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
পত্নীতলায় নবান্নের গ্রামীণ মেলা

নবান্নের গ্রামীণ মেলায় আসা বেতের তৈরি তৈজসপত্র

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

ইতিহাস-ঐতিহ্য

পত্নীতলায় নবান্নের গ্রামীণ মেলা

  • পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ নভেম্বর ২০১৯

নবান্ন" শব্দের অর্থ "নতুন অন্ন"। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৫০ বছর ধরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার পদ্মপুকুর নামকস্থানে হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী নবান্নের মেলা। প্রতিবছরের ইংরেজি তারিখের ১৭ নভেম্বরে লাগে এই মেলা। নবান্নের এই মেলাকে ঘিরে গ্রামীণ মানুষের মধ্য এক অন্য রকম উৎসব কাজ করে। বাড়িতে বাড়িতে শীতের পিঠা পুলি, নতুন ধান থেকে পাওয়া চালের পায়েশ রান্না করা হয়। পাশাপাশি কৃষকের ঘরে নতুন ধান উঠার আগে বেশকিছু প্রস্তুতি নিতে হয় কৃষকদের। ধানচালা কুলা, চালুনি, ডালা ইত্যাদি ক্রয় হয় তাদের। এজন্যই নবান্নের মেলার আয়োজন করা হয়।

শ্রী অজিত কুমার পাল নামের এক দোকানি যানান, র্দীঘ ৩০ বছর ধরে এই পদ্মপুকুর নবান্নের মেলাতে মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিক্রি করে আসছি। শুরুর দিকে আমার দাদু এই মেলাতে মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিক্রি করতেন। এরপর আমার বাবা অমুল্য চরন পাল তারপর আমি এসব বিক্রি করছি। এখানে মাটির তৈরী হাড়ি,পাতিল, ঢাকোন, প্রদীপ দেওয়া ছোট বাটি, ধুপ জালানো ধুপতীসহ নানা রকম মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিক্রি করি আমরা।

মেলাতে বাশেঁর তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে আসা রেবেকা পাহান জানান, সারা বছর আমাদের খুব কষ্টে দিন কাটে। নবান্নের এই সময়টা আমরা বাশেঁর তৈরী বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করি। মেলাতে আমরা বাশেঁর তৈরী কুলা, ঢাকনা, ঝাল ডালা,খইচালা, চালুন, মাছ রাখা খলইসহ বাশেঁর তৈরী নানা উপকরণ বিক্রি করি।

স্থানীয় আব্দুল সাত্তার জানান, বছরের এই এক দিনের জন্য নবান্নের মেলা হয়। মেলাতে এই এলাকার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষেরা আসেন। এখানে সারা বছরের সংসারের প্রয়োজনীয় নানা রকম জিনিসপত্র পাওয়া যায়। মানুষেরা এগুলো কিনে সারাবছরই ব্যবহার করা হয়।

মেলা কমিটির সভাপতি শ্রী বিরেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান,মুলত নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে আমরা এই মেলার আয়োজন করে থাকি। প্রতিবছর ধান কাটার সময় এই মেলা বসানো হয়। আসে পাশে অনেক এলাকার মানুষ আসে এই মেলায়। তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে। আর প্রতিবছরই বেচাকেনা ভালো হওয়ায় অনেক দোকান আসে এই মেলায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads