• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

ভারত

সীমান্তে সামরিক তৎপরতা বাড়াচ্ছে চীন আধুনিক রণসাজে সাজছে ভারতও

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮

তিব্বতে নজিরবিহীন সামরিক তৎপরতা শুরু করেছে চীন। রাস্তা, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমানবন্দর, সব ক্ষেত্রেই অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলছে পরিকাঠামো বানানোর কাজ। দেশটির এই সামরিক তৎপরতার পাল্টা পদেক্ষপ হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারতও। ঢেলে সাজানো হচ্ছে সীমান্তে ভারতের প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, ভুটানের ডোকলামে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই বেইজিং সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ওই এলাকায় পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা (আকাশ) বসাচ্ছে ভারত। এত দিন এই এলাকায় ভারতের ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা ছিল না।

খবরে বলা হয়, সামরিক এবং অসামরিক প্রকল্প মিশিয়ে এক নতুন ধারার পরিকাঠামো তৈরির কাজ করেছে চীন। সীমান্ত থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দূরে শিনিংয়ে একটি বিশাল বিমানবন্দর তৈরি করছে দেশটি। পাশাপাশি তিব্বতের লুনৎসে, টিংরি এবং পুরাংয়ে হচ্ছে তিনটি ছোট বিমানবন্দর। এগুলো ভারত সীমান্তের খুব কাছে। একই সঙ্গে গোঙ্গার বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন করছে তারা। ২০২০ সালের মধ্যেই এর কাজ সম্পূর্ণ হবে। এরপর বছরে ৯০ লাখ পর্যটক বিমানে ওঠানামা করতে পারবে এই অঞ্চলে। পাশাপাশি ৮০ হাজার টন পণ্য পরিবহন সম্ভব হবে এই বিমান বন্দরে। এটি অসামরিক প্রকল্প হলেও প্রয়োজনে চীনের সেনাবাহিনী বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরেই তিব্বতে চালু হয়েছে রিকাজে-শিগাজে-জিনান বিমান চলাচলের রুট। পাল্টা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নয়াদিল্লিও। উত্তর-পূর্ব ভারতে আরো ছয়টি ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা স্থাপনের বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এ ছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে অঞ্চলটিতে নিয়ে যাওয়া হবে চিনুক এবং অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের একটি করে স্কোয়াড্রন। সাধারণত একটি স্কোয়াড্রনে ১২ থেকে ২৪টি বিমান বা হেলিকপ্টার থাকে।

ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি বিবেচনা করেই রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  ২০২১ সালের মধ্যেই ভারত এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাবে। ফ্রান্সের কাছ থেকে কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানের একটি স্কোয়াড্রনও এই অঞ্চলেই মোতায়েন করা হবে বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্তে চীনের তৎপরতার কথা ভেবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে ভা রত। এ সবের পাশাপাশি অত্যাধুনিক সুখোই বিমানের একটি স্কোয়াড্রন স্থাপনের কথা ভাবছে বিমানবাহিনী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads