• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ভারত

ভারত-পাকিস্তান ঐকমত্য

শান্তিরক্ষায় সীমান্তে আর নয় গুলি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধের বিষয়ে একমত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে একপ্রস্ত বৈঠকের পর দু’দেশের তরফেই জানানো হয়, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যাবতীয় মৈত্রীচুক্তি, সমঝোতা মেনেই চলবে দুই দেশের সেনাবাহিনী। এই মর্মে একটি যৌথ বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দুই দেশের শান্তি রক্ষার স্বার্থে এবং হিংসাকে প্রতিহত করতেই এই সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত ২০০৩ সালে সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ বিরতি কার্যকরে একমত হয়েছিল দুই দেশই। খাতায় কলমে এই নিয়ম এখনো বহাল। কিন্তু, অধিকাংশ সময় এই চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে সীমান্ত সমস্যার সমাধানে এই চুক্তি নিয়ে পুনরায় আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছিল বিশেষজ্ঞ মহল।সূত্রে খবর, ভারত এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অপারেশনাল প্রধানরা প্রত্যেক বৃহস্পতিবার একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এই বৈঠকেই সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতবছর সীমান্তে ৫,১৩৩ বার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘিত করেছিল পাকিস্তান। এরফলে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪৬ জন। চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত সীমান্তে গুলি চলেছে ২৯৯ বার। এই মাসেই প্রাণ হারিয়েছেন একজন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিগত কয়েক বছরে ভারত-পাক সম্পর্ক তলানিতে। ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বিমানবাহিনীর ছাউনিতে হামলা চালায় পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী। এরপর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরো অবনতি হয়। এই ঘটনার ঠিক তিন বছর পর পুলওয়ামাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ। ঘটনায় শহিদ হন ৪০ জন  জওয়ান। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়।  কিন্তু বুধবারই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছিলেন, আলোচনার মধ্য দিয়েই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব। এদিকে ২০১৫ সালে বড়দিনে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এরপর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির জন্য বড় কোনও আলোচনা হয়নি। সে দিক থেকে এই সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads