• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
ভারতে লাখ ছাড়াল দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা

সংগৃহীত ছবি

ভারত

ভারতে লাখ ছাড়াল দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা

  • প্রকাশিত ০৬ এপ্রিল ২০২১

ভারতে আবারো সেই পরিচিত দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। বড় বড় শহরের হাসপাতালগুলোও রোগীতে পূর্ণ। বেড খালি নেই। গুদামঘর, অব্যবহূত ট্রেন ছাড়াও বড় জনসমাগমস্থলের মতো এলাকা অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তরিত হচ্ছে। আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে কোভিড বিধিনিষেধ। কিছু কিছু স্থানে নতুন করে জারি করা হয়েছে লকডাউন নিষেধাজ্ঞা। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মহামারী শুরুর পর এটাই এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। গতকাল সোমবার সকালে ভারত সরকারের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গত এক দিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ৩ হাজার ৫৫৮ জন রোগী। এ নিয়ে দেশটিতে মোট শনাক্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক কোটি ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৭ জন। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ভারতের সবচেয়ে বেশি করোনাদুর্গত রাজ্য মহারাষ্ট্র। মহামারী শুরুর পর রাজ্যটিতে ৩০ লাখের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত রবিবার রাজ্যটিতে দৈনিক সংক্রমণ সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়। এদিন নতুন করে শনাক্ত হয় ৫৭ হাজার ৭৪ জন রোগী। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়েও দৈনিক সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে গত রোববার। এদিন ১১ হাজার ১৬৩ জন নতুন শনাক্তের মধ্য দিয়ে মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৫ জন। করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ হতে থাকায় গত রোববার উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনার নতুন অতিসংক্রামক ধরন ও বিধিনিষেধ মানার ব্যাপারে মানুষের অনীহাকে এর বড় কারণ হিসেবে বর্ণনা করছেন বিশ্লেষকরা। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে লাখো মানুষের বিশাল সমাবেশ হচ্ছে। এতে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, পরিস্থিতি প্রথম দফার চেয়ে আরো ভয়াবহ হবে।  ভারতে এর আগে দৈনিক আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে। ওই সময় একদিনে সর্বোচ্চ ৯৮ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়। প্রথম দফার প্রাদুর্ভাবে ওটাই ছিল সংক্রমণের চূড়া। এরপর আক্রান্ত কমতে থাকে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তো তা ৯ হাজারে নেমে আসে। তখন দেশটি মহামারী নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে প্রশংসা করাও শুরু হয়।

কিন্তু মহামারীর ভয়াল থাবা থেকে ভারত যে তখনো রক্ষা পায়নি তা মার্চের শুরু থেকে আবার দেখা যেতে থাকে। ওই সময় থেকে দেশটিতে প্রতিদিন আক্রান্ত বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। মাস শেষে হতে না হতে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে লক্ষাধিক। এই সময়ে দেশটিতে প্রায় প্রতিনিয়ত দ্বিগুন করে বেড়েছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী ও দেশটিতে করোনার প্রকোপে সবচেয়ে বিপর্যস্ত শহর মুম্বাইয়ের অ্যাসোসিয়েশন অব মেডিকেল কনসালটেন্টস এর প্রেসিডেন্ট দীপক বাইদ মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, ‘এখানে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বেডের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল রোগীতে পূর্ণ।’ তিনি আরো বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে বেড খালি না থাকার কারণে এখন অনেক রোগী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। অনেকে যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তারা বাধ্য হয়ে নন-কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। নয়াদিল্লির সেন্টার ফর ডিজিস ডায়নামিকস, ইকোনোমিকস ও পলিসির রমণাম লক্ষ্মীনারায়ণ বলেন, ‘এখন ভারতে আক্রান্ত খুব দ্রুত বাড়ছে; যা গত বছরের তুলনায় ব্যতিক্রম। আক্রান্তের হারও এখন অনেক বেড়েছে।’ 

গত বছরের চেয়ে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন হওয়ার প্রধান কারণ গত বছর ভারতে আক্রান্ত বাড়ার আগে দেশটি এক মাসের বেশি সময় লকডাউনে ছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads