• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ভারতে টিকার ঘাটতি

সংগৃহীত ছবি

ভারত

ভারতে টিকার ঘাটতি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৯ এপ্রিল ২০২১

বিশ্বে নানা রোগের টিকা উৎপাদনে শীর্ষে থাকা ভারতে করোনাভাইরাসের টিকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত টিকার সরবরাহ না থাকায় মহারাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাজ্যে টিকাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। ওড়িশায় এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অর্ধেকের বেশি টিকাকেন্দ্র। বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের ২৬টি টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ওড়িশায় এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অর্ধেকের বেশি কেন্দ্র।

১৩৩ কোটি মানুষের দেশটিতে টিকা কার্যক্রম শুরু জানুয়ারিতে। এ পর্যন্ত ৯ কোটি মানুষ টিকার আওতায় এসেছেন। এদের মধ্যে মাত্র ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ দুই ডোজ টিকাই নিয়েছেন। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের করোনার টিকাদানে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ভারত সরকার। চলমান পরিস্থিতিতে ৪৫ বছরের কম বয়সীরাও করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে টিকার পরিধি বাড়ানোর দাবি উঠেছে সারা দেশে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপের অভিযোগ, টিকা সরবরাহে পক্ষপাতিত্ব করছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশসহ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে বেশি টিকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকাদানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্বল্পতা নেই; বরং প্রতিদিন গড়ে ৩৪ লাখ মানুষকে টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে সারা বিশ্বে দৈনিক টিকাদানের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ভারত।

 নিজ জনগণের চাহিদা না মিটিয়ে কোটি কোটি ডোজ টিকা বিদেশে রপ্তানি করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার- পার্লামেন্টে এমন অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলো।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার। আরো ৬৮৫ জনের মৃত্যুতে মোট প্রাণহানি হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার।

করোনা শনাক্তের দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় ও মৃত্যুতে চতুর্থ শীর্ষ দেশ ভারত। তালিকায় ভারতের আগে আছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও মেক্সিকো।

মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে ভারত সরকার। টানা এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ ৮০ হাজারের বেশি। রোগের বিস্তার রোধে অর্ধশত শহরে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।

নতুন সংক্রমণের কেন্দ্রে রয়েছে করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। মহামারীর এ পর্যায়ে সারা ভারতে সংক্রমণের ৪৭ শতাংশই এই এক রাজ্যে।

গত বছরের দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাবে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছিল ভারতসহ সারা বিশ্বে। এ অবস্থায় মহামারী চরম রূপ নিলেও করোনার বিস্তার রোধে দ্বিতীয়বার দেশব্যাপী লকডাউন জারি করার উপায় নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে রাজ্য পর্যায়ে স্থানীয় সরকার প্রশাসন চাইলে বিধিনিষেধ কঠোর করতে পারে বলে জানিয়েছে দিল্লি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads