• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
নন্দীগ্রামে মমতা নয় জয়ী শুভেন্দু

সংগৃহীত ছ্বি

ভারত

নন্দীগ্রামে মমতা নয় জয়ী শুভেন্দু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৩ মে ২০২১

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। হেরে গেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই আসনে ভোটের ফল নিয়ে দিনভর চলে নানা নাটকীয়তা। এক পর্যায়ে মমতার জয়ের খবর দেয় সংবাদমাধ্যম। শেষ পর্যন্ত শুভেন্দুর বিজয়ী হওয়ার খবর ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, নন্দীগ্রামে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়েছেন শুভেন্দু। মমতা পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৩৭ ভোট। সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ৬ হাজার ১৯৮ ভোট পেয়েছেন। শুভেন্দু জয়ী হয়েছেন এক হাজার ৭৩৬ ভোটে।

এরআগে সন্ধ্যার দিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জয়ের খবর আসে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। নন্দীগ্রামে মমতা জয়ী হওয়ার খবর দেয় এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজার পত্রিকা। এএনআইর বরাত দিয়ে তারা খবরটি প্রকাশ করে। তবে এর কিছু সময় পরই আবার সংবাদমাধ্যমগুলো শুভেন্দুর জয়ের খবর দেয়।

আনন্দবাজারে বলা হয়, ''নন্দীগ্রাম নিয়ে চরম বিভ্রান্তি। ১৭ রাউন্ড ভোটগণনার পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সেখানে জয়ী হয়েছেন বলে খবর আসছিল। কিন্তু সন্ধ্যা গড়াতে দেখা যায় ১৬২২ ভোটে সেখানে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজেই সে কথা জানিয়েছেন। আনন্দবাজারকে তিনি বলেন, ‘১৬২২ ভোটে জিতেছি আমি।''

নন্দীগ্রামে ভোটের ফল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। আদালতে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মমতা বলেছেন, ‘নন্দীগ্রামের মানুষের রায় মেনে নিচ্ছি। কিন্তু ওখানে ভোট লুঠ হয়েছে। আদালতে যাব আমরা।’

রাতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা আরিজ আফতাব বলেন, ‘আপাতত জয়ী শুভেন্দু অধিকারী। পুনরায় গণনার ব্যাপারে এখনও কোনও আবেদন আসেনি। তা হবে কি না ঠিক করবেন রিটার্নিং অফিসার। এটা আংশিক না সম্পূর্ণ গণনা হবে সেটাও তিনি ঠিক করবেন।’

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মোট আসন ২৯৪টি হলেও নির্বাচনের মধ্যে দুই প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় দুটি আসনের ভোট স্থগিত হয়। ফলে সকালে ২৯২টি আসনের ভোট গণনা শুরু হয় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে।  সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৪৮টি আসন।

গত ২৭ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার। আট দফায় ভোট পড়ার গড় হার ৮১ দশমিক ৬ শতাংশ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads