• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

ভারত

সীমান্তে ক্ষমতা বাড়লো বিএসএফের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৪ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে- এমন তিন রাজ্যে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ক্ষমতা বেড়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও পাঞ্জাবে (পাকিস্তান লাগোয়া রাজ্য) আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ গ্রেপ্তার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার কাজ করতে পারবে। বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন এ খবর জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি পাকিস্তান লাগোয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ প্রবণতায় রাশ টানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন নর্থ ব্লকের কর্তারা।

যদিও অমিত শাহের মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি নতুন নির্দেশিকায় আপত্তি জানিয়ে টুইট করেছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা করেন তিনি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দ্রুত এ অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, জাতীয় সুরক্ষার দিকে লক্ষ্য রেখে সীমান্ত সংলগ্ন স্পর্শকাতর রাজ্যগুলোতে বেআইনি কার্যকলাপ রোধে এ সিদ্ধান্ত। কিন্তু তা মানতে নারাজ অপর একটি মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত। বিএসএফ-এর আসল কাজ হল সীমান্ত পাহারা দেওয়া এবং অনুপ্রবেশ রোখা। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় দেখা গেছে, ওই কাজ তারা সাফল্যের সঙ্গে করে উঠতে পারছে না।

তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিএসএফ-এর নিত্য সমস্যা লেগে থাকার সূচনা হবে। কারণ, এত দিন তাদের কাজের ক্ষেত্র ছিল সীমান্তের আউটপোস্ট পর্যন্ত। কিন্তু এবার তারা সেই সীমানা পেরিয়ে অন্য এলাকাতেও তল্লাশিতে যাবেন এবং প্রয়োজন মনে করলে গ্রেপ্তার করবেন, তা নতুন সমস্যার জন্ম দিতে পারে।’

অন্য দিকে, বিএসএফ-এর এক আধিকারিকের পাল্টা দাবি, তাদের কাছে যদি নির্দিষ্ট সূত্র থেকে খবর থাকে, তা হলে তারা কেন স্থানীয় পুলিশের জন্য অপেক্ষা করবেন? নতুন নিয়মে নিজেরাই অভিযান চালিয়ে দুষ্কর্ম রুখে দিতে পারবেন।

নতুন নিয়মে আসাম, পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশের মতোই তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেল বিএসএফ। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত (ভারত-বাংলাদেশ, ভারত-পাকিস্তান) থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ-কে এই বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

আগে এ সীমা ছিল ১৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া সীমান্ত রক্ষী বাহিনী নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মনিপুর ও লাদাখে তল্লাশি এবং গ্রেপ্তার করতে পারবে। তবে ব্যতিক্রমও আছে। ভারত-পাক সীমান্তবর্তী গুজরাটে এতোদিন বিএসএফ-এর আওতায় ছিল আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৮০ কিলোমিটার এলাকা। নতুন নিয়মে তা কমিয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। আর এক পাকিস্তান সীমান্তবর্তী রাজ্য রাজস্থানে অবশ্য আগের মতো ৫০ কিলোমিটারই পরিধি রাখা হয়েছে।

নয়া নির্দেশিকায় উত্তর-পূর্বের ৫ রাজ্যের ক্ষেত্রে এলাকা নির্দিষ্ট করা হয়নি। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের ক্ষেত্রেও সীমানা ঠিক করা হয়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads