• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ভারত

বহিরাগত ইমাম-শিক্ষকদের লাগাম টানছে আসাম

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৪ আগস্ট ২০২২

ভারতের আসামে মাদরাসা ও মসজিদে বহিরাগত শিক্ষক ও ইমাম-মুয়াজ্জিনদের পুলিশি যাচাই-বাছাইসহ রাজ্য সরকারের তথ্যপুঞ্জিতে নিবন্ধিত হতে হবে। নতুন এই নীতিমালা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এমন দুজন ধর্মীয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের দুই দিন পর এ নির্দেশনা জারি করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে জঙ্গিগোষ্ঠীর হোতা আসামের একটি মসজিদে ইমাম হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। জঙ্গি তৎপরতা আশপাশের অনেক গ্রামে ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। জিহাদি কর্মকাণ্ড ও নেটওয়ার্কের বিস্তার ঘটাতে এমন ৬ ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে আসামে প্রবেশ করেন। রাজ্যের পুলিশ তাদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এখন কিছু মানসম্পন্ন নীতিমালা (স্ট্যাডার্ট অপারেটিং প্রসিডিউর-এসওপি) মেনে চলব। আসামের কোনো গ্রামের মসজিদে কোনো বহিরাগত যদি ইমাম হতে চান, তবে এলাকাবাসীকে তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করতে হবে। পুলিশি যাচাই-বাছাই (পুলিশ ভেরিফিকেশন) শেষে তাকে ইমাম নিযুক্ত করা যাবে। ‘আসাম মুসলিম সোসাইটি’ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আমাদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

তিনি বলেন, এই নীতিমালা আসামের বাসিন্দাদের ওপর প্রযোজ্য হবে না। যারা আসামের বাসিন্দা তাদের এমন নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে না। তবে যারা রাজ্যের বাইরে থেকে এসেছেন তাদের অবশ্যই বিস্তারিত ব্যক্তিগত তথ্য রাজ্যের তথ্যপুঞ্জিতে যুক্ত করতে হবে।

চলতি বছরের মার্চ থেকে রাজ্য পুলিশ জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত সন্দেহে ৪০ জনের বেশি গ্রেপ্তার করেছে। এর পরই সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে জোর তৎপরতা শুরু হয় রাজ্যের পক্ষ থেকে।

এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, ভারতের এই রাজ্যে ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া জিহাদিদের সঙ্গে বাংলাদেশভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আনসারুল ইসলামের যোগসাজশ রয়েছে।

এরআগে গুয়াহাটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আনসারুল ইসলামের ছয় বাংলাদেশি সদস্য সম্প্রতি আসামে এসে এখানকার যুবকদের প্ররোচিত ও পথভ্রষ্ট করতে শুরু করেন। তাদের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই বছরের মার্চ মাসে বারপেটা অঞ্চলে মৌলবাদী জঙ্গিদের একটি ধরন প্রথম কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ‘আসামের বাইরের ইমামদের মাধ্যমে এখানকার বেসরকারি মাদরাসায় মুসলিম যুবকদের প্ররোচিত করা খুবই উদ্বেগজনক বলেও  তিনি যোগ করেন।

তার মতে, সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ থেকে খুব ভিন্ন এমন সব জিহাদি কার্যকলাপ। এটি বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যাপকভাবে শুরু হয়। দীক্ষা নিয়ে প্রথম দিকে ইসলামী মৌলবাদের প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তারা এবং পরে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads