• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
আড়তদারদের টাকা তিন কিস্তিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

ছবি : সংগৃহীত

শিল্প

চামড়া খাতের বকেয়া

আড়তদারদের টাকা তিন কিস্তিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ আগস্ট ২০১৯

ট্যানারি মালিকদের কাছে কাঁচা চামড়ার আড়তদারদের বকেয়া টাকা তিন কিস্তিতে পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারপরও চামড়া ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে আরেকটি বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। অন্যদিকে আগামী ৩১ আগস্ট ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠকে এই পাওনা পরিশোধের অগ্রগতি জানাতে হবে।

গতকাল এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে ট্যানারি মালিক ও কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে আড়তদারদের যে ৪০০ কোটি টাকা পাওনা আছে, সেই পাওনা তিন কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। এর মধ্যে ১৯৯০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়ের বকেয়া অর্থ প্রথম কিস্তিতে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সালের বকেয়া দ্বিতীয় কিস্তিতে এবং ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের বকেয়া শেষ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।

বৈঠকে জানানো হয়, আগামী শনিবার ট্যানারি মালিক ও আড়তদাররা নিজেদের মধ্যে আরো একটি বৈঠক করবেন। বকেয়াগুলো কীভাবে পরিশোধ করা হবে, সে বিষয়ে এই বৈঠকে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। এরপর আগামী ৩১ আগস্ট উভয় পক্ষের চামড়া ব্যবসায়ীরা ফের এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

এ বিষয়ে আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট কি না, এখনো বলতে পারছি না। ৩১ তারিখের বৈঠকের পর এটা বলতে পারব আমরা। তবে আমরা আড়তদারদের বকেয়ার মধ্যে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের বকেয়া অর্থ সবার আগে পেতে চাই।

অন্যদিকে ট্যানারি মালিকদের সংগঠন ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট। এবার আমরা নিজেরা বৈঠকে বসে ঠিক করে নেব পাওনাগুলো কবে, কীভাবে আদায় করা হবে।

প্রসঙ্গত, চামড়াশিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ে তাদের কাছে কাঁচা চামড়া বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন আড়তদাররা। এরপর তাদের বকেয়া পাওনা আদায়ে গত ১৮ আগস্ট সরকারের মধ্যস্থতায় বৈঠকে বসেন হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে তিন ঘণ্টার ওই বৈঠকে চামড়া কেনাবেচায় সম্মত হন চামড়া ব্যবসায়ীরা। আর বকেয়া সমস্যা সমাধানে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের জন্য এফবিসিসিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads