• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

প্রতীকী ছবি

আইন-আদালত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব হবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ মে ২০১৮

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে মানুষের বাকস্বাধীনতা খর্ব করতে নতুন নতুন ধারা তৈরি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শনিবার মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি আয়োজিত ‘মৌলিক অধিকার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তারা।

বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ডিজিটাল আইনের নামে অপরাধ সংক্রান্ত ধারাগুলো সর্বস্তরের মানুষের জন্য ভয়াবহ অবস্থায় রূপলাভ করবে। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ও চেতনা বা অনুভূতিতে আঘাতের নামে এসব আইন তৈরি করা হলেও বাস্তবে তার পরিপন্থি হিসেবে কাজ করবে। নতুন করে শাস্তি বাড়াতে সরকার এসব আইন তৈরি করছে।

এসব আইন সভ্য দেশগুলো থেকে ২০০ বছর আগে উঠে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানে জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতা রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া হলেও নতুন আইনের মাধ্যমে পুলিশকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। তারা চাইলেই পুরো দেশ অচল করে দিতে পারবে।

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিল আকারে পেশ হয়েছে। যেকোনো সময় তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন এবং সংসদে পাস হয়ে যাবে। এ আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার কথা ছিল কিন্তু তার কোনোটিই করা হয়নি। এ আইনের মাধ্যমে মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ কারণে নানা জায়গায়, নানাভাবে নির্বিঘ্নে লুটপাট হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এ আইনের ধারাগুলোর ব্যাখ্যা আরো সুস্পষ্ট হওয়া দরকার। এটা অনেক জটিল আইন। যা পুলিশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে সরকার। আইনের ব্যাখ্যা না থাকলে পুলিশ কীভাবে বুঝবে কোন আইন কীভাবে কোথায় প্রয়োগ করা উচিত। সরকার নিজেদের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতেই এ আইনটি করেছে। এ আইনের অর্থ হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ করা। এ কারণে ৫৭ ধারা বাস্তবায়নের আগে এর মানদণ্ডগুলো নির্ধারণ করা জরুরি।

মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ৫৭ ধারা আইনের মাধ্যমে মানুষের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে। যদিও এ আইন পরিবর্তন করতে গণমাধ্যমকর্মীরা নানাভাবে দাবি জানিয়ে আসছেন। শুধু সাংবাদিক নয়, অন্য পেশাজীবীরাও এ আইনের আওতায় চলে আসছেন। ফলে এটা সংশোধনের ক্ষেত্রে অন্য পেশাজীবীদের সঙ্গেও আলোচনা হওয়া দরকার। মূলত দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার : একটা হলো অপরাধটা কী এবং আইনটি প্রয়োগ করবে কে?

নারীপক্ষ সংগঠনের আহ্বায়ক শিরিন হক বলেন, ৫৭ ধারা আইনটি মন্ত্রিসভা থেকে বর্তমানে সংসদে বিল আকারে পাঠানো হয়েছে। হাসিঠাট্টার মাধ্যমে এ আইনটি যাতে পাস হতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads