• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হতে পারে 'শিশু বক্তা' রফিকুলের বিরুদ্ধে

ফাইল ছবি

আইন-আদালত

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হতে পারে 'শিশু বক্তা' রফিকুলের বিরুদ্ধে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ এপ্রিল ২০২১

রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৭) আটক করেছে র্যাব। তার বিরুদ্ধে  রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হতে পারে। গত মঙ্গলবার রাত ২টা ২০ মিনিটে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী।

রফিকুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, রফিকুল ইসলামকে রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

তিনি আরো বলেন, আটক রফিকুল ইসলামের নামে এর আগে কোথাও কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী (রাষ্ট্রদ্রোহী) মামলা হতে পারে। মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাকে ঢাকায় আনা হবে কি না। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

রফিকুল ইসলাম মাদানীর বড় ভাই রমজান মিয়া জানান, মাদানী মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ধর্মীয় সভা করে নিজ বাড়ি আসেন। রাতের খাবার শেষে সবাই ঘুমিয়ে যান। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে র্যাব পরিচয়ে কিছু লোক প্রায় ১৯টি গাড়ি নিয়ে তাদের বাড়ি ঘেরাও করেন। পরে রফিকুল ইসলাম মাদানী, তার বড় ভাই বকুল মিয়া (৩৭) ও তার দূর সম্পর্কের ভাতিজা এনামুল হককে (২৮) তুলে নেওয়া হয়। পরে বকুল মিয়াকে ওই রাতে ছেড়ে দিলেও অন্যদের আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। রমজান মিয়ার দাবি, এ সময় মাদানীর ব্যবহূত দুটি মোবাইল ফোনসহ তাদের পরিবারের ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ফোনগুলো বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এর আগে গত ২৫ মার্চ মতিঝিল এলাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী মিছিল ও ভাঙচুরের সময় রফিকুলকে আটক করেছিল পুলিশ। কয়েক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক। তিনি ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেন। শারীরিক আকৃতিতে ছোট হওয়ায় তাকে সবাই ‘শিশুবক্তা’ বলেন এবং এ হিসেবেই পরিচিতি পান তিনি। নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম ২০ দলীয় জোটভুক্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও রাবেতাতুল ওয়ায়েজিনের সঙ্গে যুক্ত আছেন বলেও জানা যায়। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads