• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

আইন-আদালত

বালিশকাণ্ডে ৭ প্রকৌশলীর জামিন বাতিলে রুল

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ জুলাই ২০২১

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে আলোচিত বালিশকাণ্ডের মামলায় পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৭ প্রকৌশলীর জামিন কেন বাতিল করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার (১৯ জুলাই) এ রুল জারি করেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। রুল জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

৭ প্রকৌশলী হলেন-পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল ও আহমেদ সাজ্জাদ খান, উপ সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল কবীর, শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ও মো. তারেক।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রিন সিটি প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের জন্য অস্বাভাবিক দামে বালিশসহ আসবাব ও অন্যান্য সামগ্রী কেনায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর পাবনায় পৃথক চারটি মামলা করে দুদক। পাবনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন ও উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।

ওই প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে ২০১৯ সালের ১৬ মে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলার ১১টি ও ১৬ তলার আটটি ভবন হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০ তলার আটটি ও ১৬ তলার একটি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য একটি বৈদ্যুতিক চুলার দাম ধরা হয় সাত হাজার ৭৪৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয় ছয় হাজার ৬৫০ টাকা, একটি বালিশের দাম ধরা হয় পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয় ৭৩০ টাকা। একটি বৈদ্যুতিক কেটলির দাম পাঁচ হাজার ৩১৩ টাকা, যা তুলতে খরচ দেখানো হয় দুই হাজার ৯৪৫ টাকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads