• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

আইন-আদালত

স্বাস্থ্যের গাড়িচালক মালেকের ৩০ বছর কারাদণ্ড

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

অস্ত্র আইনের মামলায় দুর্নীতি করে শত কোটি টাকার মালিক হওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেককে দুই ধারায় ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক রবিউল আলম এ আদেশ দেন।

রায়ের পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, আবদুল মালেককে অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় ১৫ বছর এবং ১৯ (এফ) ধারায় আরও ১৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে দুটি সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বিধায় তাকে মোট ১৫ বছর সাজা খাটতে হবে।

এর আগে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক রবিউল আলম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সালাউদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আলোচিত এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে সবার সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে মালেক ড্রাইভারের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় আদালতে ৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন র‌্যাব-১ এর এসআই সাজেদুল ইসলাম ও সদস্য আনিসুর রহমান, করপোরাল শফিকুল ইসলাম, মোতালেব হোসেন ও শহিদুল ইসলাম

গত ১১ জানুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ১৩ জনকে সাক্ষী করে মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। গত ৪ এপ্রিল মালেকের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়াস্থ ৪২ নম্বর বামনেরটেক হাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বাসা থেকে মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় র‌্যাব-১-এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, গাড়িচালক আব্দুল মালেক তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিনি পড়াশোনা করেন। ১৯৮২ সালে প্রথম সাভারে একটি প্রকল্পের গাড়িচালক হিসেবে যোগ দেন তিনি। প্রায় চার বছর চাকরির পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে যোগ দেন। আটকের আগ পর্যন্ত প্রেষণে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ছিলেন তিনি। ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারী ইউনিয়নের স্বঘোষিত সভাপতিও।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads