• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
মানুষ নিঃস্ব হওয়ার পর সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে: হাইকোর্ট

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

মানুষ নিঃস্ব হওয়ার পর সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে: হাইকোর্ট

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

ইভ্যালি, এহসান গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে গ্রাহক নিঃস্ব হওয়ার পর সরকারের পদক্ষেপ দেখা যায় বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।

আজ সোমবার দেশের গ্রাম পর্যায়ে সুদ কারবারিদের তালিকা প্রণয়নে নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের ওপর শুনানির সময় বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চ এসব কথা বলে।

একপর্যায়ে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমার বাড়ি কেন অরক্ষিত। আমার বাড়ি মানে বাংলাদেশ। দেশের মানুষ দরজা-জানালা বন্ধ করে শান্তিতে ঘুমাবে, কিন্তু আমার ঘর কেন অরক্ষিত। মানুষের টাকা কেন লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বাইরে। এগুলো বন্ধ করা কাদের দায়িত্ব? এটা আমরা দেখতে চাই। আমরা এটা পরীক্ষা করতে চাই।’

তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক বলেন, ‘মাই লর্ড, সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা কিন্তু নয়। এহসান গ্রুপের প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; ইভ্যালির মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তখন বিচারক সাইফুর রহমান বলেন, ‘সরকার তো ব্যবস্থা নিচ্ছে কিন্তু সেটা কখন? যখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম, আমার রেমিডিটা কোথায়। আমার টাকাটা নিয়ে গেল আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরতেছি। সে থানায় যাবে, জেলে যাবে যাক, কিন্তু আমার টাকাটা যে নিয়ে গেল সেটা কোথায়। আমরা মামলা করার পর চোর ধরা পড়ছে। চুরি তো ঠেকানো যাচ্ছে না।’

এই বিচারক আরও বলেন, ‘সরকারের কাজ কী? এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, তাদের আইনের শাসন সমস্ত কিছু…। সেখানে সরকার ঠিকমতো কাজ করছে কি না আমরা দেখব।’

এই রিটের ওপর আরও শুনানির জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে বেঞ্চ।

গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা সুদ কারবারিদের তালিকা করার নির্দেশনা চেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

রিটে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের শুনানিতে আদালত এসব কথা বলে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads