• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

আইন-আদালত

সিনহা হত্যা মামলা : পঞ্চম দফায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১১ অক্টোবর ২০২১

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় পঞ্চম দফার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ২৭তম সাক্ষী সেনাসদস্য সার্জেন্ট জিয়াউর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, আজ সিনহা হত্যা মামলায় পাঁচজন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে দুজন সেনাসদস্য, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের দুজন কর্মচারী (ডোম) ও একজন পুলিশ কনস্টেবল রয়েছেন।

অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম আরও জানান, গতকাল রোববার পর্যন্ত এ মামলার ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। গতকাল এক সেনা কর্মকর্তাসহ ছয়জন সেনাসদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এর আগে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে নেওয়া হয়।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় সে সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা করে। এরপর মেজর সিনহা নিহতের ছয় দিন পর লিয়াকত আলী ও ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনকারি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গত ২৪ জুন মামলার অন্য পলাতক আসামি টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত শেষে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তৎকালীন র‌্যাব-১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads