• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলা চলবে

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলা চলবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ মার্চ ২০২২

চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ফলে পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনের মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানায় আইনজীবীরা।

এর আগে, ১ মার্চ চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

এ আদেশ দেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল শুনানি শেষ হয়।

এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। তারও আগে, চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ৫ জানুয়ারি চার্জ গঠন করে আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন- পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও তার বড় খালু কবীর হাওলাদার। আসামিরা সবাই জামিনে মুক্ত আছেন।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজের বিচারক পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ১২ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।

তারও আগে গত ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবীর হাওলাদার।

গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় ওই বাসা থেকে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারো ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। অতঃপর গত ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান চিত্রনায়িকা পরীমনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads