• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

জাতীয়

নিজস্ব আয়েই চলবে ঢাকা ওয়াসা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ জানুয়ারি ২০২১

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকা ওয়াসা। সেবার মান বৃদ্ধিসহ বিগত ১০ বছরে সংস্থাটির রাজস্ব আয় বেড়েছে কয়েক গুণ। আগামীতে নিজের আয় দিয়েই চলবে ঢাকা ওয়াসা। গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ওয়াসা ভবনে আয়োজিত ‘বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯-২০২০’ অনুষ্ঠানে সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও ওয়াসা বোর্ডের সদস্য মো. ইব্রাহিম প্রমুখ।

প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকা ওয়াসা ২৪ ঘণ্টায় ২৬৪ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করে, যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। ঢাকার প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪৭ হাজার মানুষ বসবাস করে। প্রতিদিন ২৬৪ কোটি লিটার পানি আমরা উৎপাদন করি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য শহরের কোনো প্রতিষ্ঠান এত পানি উৎপাদন করে না।

তিনি জানান, ওয়াটার ইউটিলিটির আয়-ব্যয়ের যে হিসাব আছে, আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে ভালো যে অবস্থান সেটা হচ্ছে দশমিক ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা আয় হলে যেখানে ৬৫ টাকা খরচ হয়। কিছু দিন আগে আমরা সেটিকে দশমিক ৬২ শতাংশে নিয়ে এসেছি, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো।

ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব আয় আগের থেকে অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সংস্থাটির চেয়ারম্যান ছিলাম। তখন ওয়াসার বার্ষিক আয় ছিল মাত্র ৩০০ কোটি টাকা। গত ১৩ অক্টোবর আমাকে আবার ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান করে নিয়োগ দেয় সরকার। উন্নয়নের ছোঁয়ায় সংস্থাটির বাৎসরিক আয় এখন প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এ সময়ের মধ্যে ঢাকা ওয়াসার প্রযুক্তিগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্থাটি নিজের আয় দিয়ে নিজেই চলবে এবং জনগণকে সেবা দেবে। এ জন্য ঢাকা ওয়াসায় এখন পুনর্গঠন কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে আমাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সবই বদলে যাবে। আমরা সরকারি বেতন নেব না বা অনুসরণ করব না।

ওয়াসার চেয়ারম্যান আরো বলেন, সংস্থার দুর্নীতি একে বারে আমরা দূর করতে পারব তা বলছি না, তবে চেষ্টা করব একেবারে নিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসার। কিন্তু এ কাজে গ্রাহকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। গ্রাহকদের অনুরোধ করব কোনো বিষয় নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে লেনদেন না করতে। যদি এজন্য কেউ কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন বা বিল অতিরিক্ত হয়, তাহলে সরাসরি আমাদের ১৬১৬২ নাম্বারে কল করবেন। প্রয়োজনের আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কোনো অনৈতিক লেনদেন ছাড়াই দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

অনুষ্ঠান শেষে সরকারি-বেসরকারি ৩৭টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হাতে ‘বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। ‘বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড’-এ প্রথম স্থান অধিকার করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ও সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড। এছাড়া বিল কালেকশনের সঙ্গে সংযুক্ত ৩৪টি ব্যাংক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সন্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads