• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
গরমে চাহিদা বেড়েছে শরবত ও ফলের রসের

ছবি: পিবিএ

জাতীয়

গরমে চাহিদা বেড়েছে শরবত ও ফলের রসের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ মার্চ ২০২১

রাজধানীর ফার্মগেটে প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে কচি শসা খাচ্ছিলেন লালমনিরহাটের রহিম মিয়া। ৫০ বছরের এই প্রৌঢ়ের সঙ্গে তার যুবক সন্তানও ছিলেন। তারা শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। নির্দিষ্ট কাজ শেষে রাজাবাজারে অত্মীয়ের বাসায় ফেরার সময় গরম থেকে বাঁচতে তাদের শসা খাওয়ার এমন প্রচেষ্টা। 

রহিম মিয়া বলেন, ‘গরমে ভীষণ তেষ্টায় (তৃষ্ণায়) বুক ফেটে যাচ্ছিল। তাই স্বাস্থ্যকর-হানিকর বুঝি না। বাঁচতে তো হবে?’ এটা গত মঙ্গলবারের চিত্র। এদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন দোকানে লেবু ও আখের শরবত, ঠান্ডা লাচ্ছি, কাঁচা আম, তরমুজ, পেঁপের জুস ও ডাবের চাহিদা বেড়েছে। এ ছাড়া ফুটপাতে ফালি করে সাজিয়ে রাখা শসা, গাজর, তরমুজ ও পেঁপের দোকানেও ক্রেতাদের বেশ ভিড় লক্ষ করা যায়। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। ফলে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হন প্রখর সূর্যতাপে ও ভ্যাপসা গরমে ঘেমে অস্থির হন তারা। গরমে তেষ্টা মেটাতে অসংখ্য মানুষকে ডাব, শসা, গাজর ও বরফ মেশানো শরবতের দোকানে ভিড় জমাতে দেখা যায়। করোনা সংক্রমণের কারণে মুখে মাস্ক পরিধানের ফলে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণে সমস্যার কারণে সহজেই ঘামেন মানুষ। বিএসএমএমইউ’র আউটডোরে ডাক্তার দেখিয়ে বের হয়ে শাহবাগের আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেটের সামনের দোকানে ডাব খাচ্ছিলেন রাজধানীর লালবাগের গৃহবধূ শাহানা আক্তার ও তার ১০ বছর বয়সি ছেলে সায়মন। শাহানা আক্তার জানান, অনেকক্ষণ সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থেকে গরমে অস্থির হয়ে গেছেন, তাই ডাব কিনে খাচ্ছেন। কয়েকদিন আগেও যে ডাব ৫০ টাকায় খেয়েছেন গরম পড়ার কারণে সেই একই সাইজের ডাব এক দাম ৭০ টাকায় কিনে খেতে হচ্ছে।

ধানমন্ডি লেকের অদূরে ফুটপাতে লেবুর শরবত বিক্রেতা হালিম মিয়া জানান, কয়েকদিন ধরে তার বেচাকেনা খুব ভালো। প্রতি গ্লাস ১০ টাকা দামে বরফ মেশানো লেবুর শরবত বিক্রি করেন। ক্রেতার ভিড় বেশি হওয়ায় ছোট ভাইকে নিয়ে এসেছেন। এক ক্রেতা খাওয়ার পর সে দ্রুত গ্লাস ধুয়ে দিলে আরেক ক্রেতাকে শরবত ঢেলে দেন হালিম।

এদিকে নানা উন্নয়ন কাজে রাজধানী ধুলায় ধূসর। ফলে খোলা এসব খাবার ও পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এতে পানিবাহিত রোগ হওয়ার সমূহ শঙ্কা আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, এসব খাবার ও পানীয়ের দ্বারা হেপাটাইটিস-ভিও হতে পারে। তাই যত অসহনীয় অবস্থাই হোক না কেন, ফল ও পানীয় বাসায় নিয়ে ভালো করে ধুয়ে বিশুদ্ধ পানি মিশ্রিত করে খাওয়া উচিত। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads