• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বিনিয়োগে আগ্রহী সাত দেশ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

বিনিয়োগে আগ্রহী সাত দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ মে ২০২১

চট্টগ্রাম বন্দরের মেগা প্রজেক্ট বে-টার্মিনালে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া ও সৌদি আরবসহ সাত দেশ। এই টার্মিনালকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে  হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী এ দেশগুলো। এ অবস্থায় তিনটি জেটির মধ্যে একটি চট্টগ্রাম বন্দর এবং বাকি দুটি গ্লোবাল পার্টনারদের ছেড়ে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা হালিশহর এলাকার সাগর উপকূলে গড়ে উঠছে বহুল কঙ্ক্ষিত বে-টার্মিনাল।  ৬৭ একর জায়গা অধিগ্রহণের পাশাপাশি সাগর থেকে বালু এনে ভরাট করা হচ্ছে আরো ৮০০ একর খাস জমি। সাগর তীরে গড়ে উঠা এই বন্দরে সব ধরনের মাদার ভ্যাসেল ভিড়তে পারবে। প্রাথমিক সমীক্ষা অনুযায়ী ২০০ কোটি ডলার প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান অপারেশনাল এরিয়ার প্রায় ছয় গুণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পাঁচ হাজার কন্টেইনার বহন ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ বার্থিং করানো সম্ভব হবে। জাহাজ ভেড়ানোর ক্ষেত্রে জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করতে হবে না।

চবক বলছে, প্রকল্পের প্রস্তাবে রেল, সড়ক, নৌ ও এয়ারপোর্টের সংযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে। প্রায় ১২ মিটার ড্রাফট এবং ২৮৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ৫ হাজার টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের সমপরিমাণ ইউনিট) ধারণক্ষমতার জাহাজ ভিড়তে পারবে। এছাড়া জাহাজ বার্থিংয়ের ক্ষেত্রে নাইট নেভিগেশনসহ ২৪ ঘণ্টা জাহাজ চলাচল করতে পারবে। টার্মিনালটি কার্যকর হলে চট্টগ্রাম বন্দরের জট অনেকাংশে কমে যাবে, এতে যেমন সময় বাঁচবে, কমবে ব্যবসায়িক খরচ। কনটেইনার জাহাজ ভাড়া প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল হলে বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

তিনি বলেন, পতেঙ্গা হালিশহরের সমুদ্র তীরবর্তী ভূমি উদ্ধার করে বে-টার্মিনাল নির্মাণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই টার্মিনাল নির্মাণের পর চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যত দ্রুত সম্ভব বে-টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন করতে পারলে দেশের অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি পাবে ও মঙ্গল বয়ে আনবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, কোরিয়া, ভারত, সিঙ্গাপুর, ডিপি ওয়ার্ল্ড আছে। এছাড়া আরো অনেকেই আছে। তো এই রকম গ্লোবাল অপারেটর থেকে নির্বাচন করা হবে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর বছরে গড়ে ৩০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করলেও ক্রমশ এ সংখ্যা বাড়ছে। সৃষ্টি হচ্ছে নানা জটিলতা। এ অবস্থায় আগামীতে বে-টার্মিনাল ছাড়া আর কোনো বিকল্প দেখছেন না বন্দর ব্যবহারকারীরা।

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক আবদুল্লাহ জহির বলেন, জেটির সংখ্যা যদি বাড়ানো না হয়, কোনো অবস্থাতেই চট্টগ্রাম বন্দরের এই সমস্যার সমাধান হবে না।

চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক যানবাহন চলাচলের কারণে সীমাহীন যানজটে পড়তে হয় নগরবাসীকে। বে-টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের ডেলিভারি পয়েন্ট হবে সেখানে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, এই বে-টার্মিনাল হলে আগামী ৫০ বছরের জন্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের অর্থনীতি বা ব্যবসার জন্য একটা মাইলফলক হবে।     

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads