• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ মে ২০২১

স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, দেশে প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ কমেছে। তবে এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই বলেও জানানো হয়েছে। শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এতে করোনা চলে গেছে, এরকম ভাবার সুযোগ নেই।

ঈদকে কেন্দ্র করে যে কোনো মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন শপিংমলে, বিভিন্ন দোকানে মানুষের উপচেপড়া ভিড় তৈরি হয়েছে। অনেকেই ঈদের বাজার করতে বের হচ্ছেন। সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা ছিল, সেটি করা হচ্ছে না। মনে রাখতে হবে স্বাস্থ্যবিধি পালনে অবহেলা করছেন মানেই কিন্তু আপনারা আশপাশ থেকে সংক্রমিত হয়ে পরিবার ও নিকটজনকে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেন।

আপনারা বাইরে এসে খাবার গ্রহণ একেবারেই এড়িয়ে চলুন। সঠিক নিয়মে মাস্ক ব্যবহার ও শারীরিক দূরত্বও মেনে চলার দিকে খেয়াল রাখুন। আমরা যে বিধিনিষেধের কথা বলছি, এটা কিন্তু আমাদের সবাইকে মিলেমিশে করতে হবে। কাঁচাবাজার, দোকানপাট, শপিংমল, রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ যারা আছেন প্রত্যেকে যদি বিধিনিষেধগুলো প্রতিপালন করেন এবং স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো নির্দিষ্ট স্থানে ঝুলিয়ে রাখেন এবং নিজেরা সচেতন থাকেন তাহলে কাজটি সহজ হয়ে যায়।

এছাড়া দেশে ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্ট করোনা শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলোর জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হচ্ছে। এ জন্য ভারত থেকে আসা করোনা আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আনা হচ্ছে বলে জানায় সংস্থাটি। জিনোম সিকোয়েন্স করতে কিছু দিন সময় লাগে। আমরা এ বিষয়ে রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। ভারতে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে করোনার ভারত ভ্যারিয়েন্টকে। এর মিউটেশন ক্ষমতা অন্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্বিগুণ বলেও দাবি করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে ভ্যারিয়েন্টটির প্রবেশ ঠেকাতে ভারতের সঙ্গে যাত্রী যাতায়াতের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পরিকল্পনা।

টিকা প্রসঙ্গে বলেন, যারা প্রথম ডোজ নিয়েছে তাদের অবশ্যই ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। আমাদের টিকার কিছু সংকট রয়েছে। সরকার সংকট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। যদি আমরা সেরামের টিকা না পাই তাহলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। সরকার গণটিকা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এরই মধ্যে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। চলতি মাসের মধ্যে চীন থেকে ৫ লাখ টিকা আসবে। এ সময়ের মধ্যেই রাশিয়া থেকেও ৪০ লাখ টিকা আসবে। টিকা আসার পর আবারো প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হবে। 

দেশে এ পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭০৯ জন। গত রোববার পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ২৪১ জন। সে হিসাবে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে খুব কম টিকা আছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে করোনা টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। এর আওতায় দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে। ভারত সরকারের দুই দফা উপহারের ৩২ লাখ ডোজ মিলে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা আসে দেশে। যে টিকা এখন হাতে আছে, তা দিয়ে সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে ঘাটতি আছে এখনো ১৩ লাখের বেশি। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads