• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে চড়ছে যাত্রীরা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে চড়ছে যাত্রীরা

  • সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ মে ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জে স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে করোনার ভয় উপেক্ষা ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক কাভার্ডভ্যানে করে বাড়ি ফিরছে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীরা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও শিমরাইল মোড়ে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের ভীর। বাস না পেয়ে ট্রাক আর কাভার্ডভ্যানে করে বাড়ি ফিরছে যাত্রীরা। স্বাস্থ্য বিধির কোনো তোয়াক্কাই করছেন না যাত্রী কিংবা পরিবহন কর্তৃপক্ষ। তবে বিভিন্ন যাত্রীবাহী পরিবহনের টিকেট কাউন্টারগুলো দিনে বন্ধ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে টিকেট বিক্রি করা হয়। রাত ১০টার পর দেখা যায় যাত্রীদের ভির। দূরপাল্লার বাসগুলো চলে রাতে। টিকেটের মূল্য নেওয়া হচ্ছে অনেক বেশি।   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিমরাইল এলাকার এক কাউন্টারম্যান জানায়, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির যাত্রীরা রাতের বাসের বুকিং দিচ্ছে। সাধারণ বাসে জনপ্রতি ভাড়া ১২০০ টাকা। এসি বাসে ১৮০০ টাকা। মাঝপথে নামলেও ভাড়া কম নেই। 

অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিমরাইলে মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ ও মেঘনা ব্রিজের সামনের হাইওয়ে পুলিশকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে হয়। এছাড়া অন্য জেলায় তো আছেই। তাই টিকিটের দাম বেশি। বিকাশের মাধ্যমেও চলছে সিট বুকিং।

কাউন্টার পরিচালনাকারীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, রাত ৮ টার পর থেকে ১২ টা পর্যন্ত গাড়ী পাওয়া যাবে। রাস্তায় পুলিশে সমস্যা করে তাই ম্যানেজ করতে ভাড়া কিছু বেশি নেয়া হচ্ছে। বাস ছাড়াও মাইক্রোবাসে যাত্রী নেওয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে। শিমরাইল মোড় থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত নন এসি মাইক্রোবাসে যাত্রীর প্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। লক্ষীপুর সদরে ৭০০ টাকা,নোয়াখালী ও ফেনীতে ৮০০ টাকা। চট্টগ্রামে ১২০০ টাকা। এসিতে গেলে ভাড়া দ্বিগুণ।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, মাত্র পাঁচ জন লোকবল নিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। গাড়ির চাপ এতটাই বেড়েছে যে তাদের সামনে যাওয়ার সময় পাইনি। দূরপাল্লার সব পরিবহনের টিকেট কাউন্টার বন্ধ বলে তিনি দাবি করেন।

জেলা ট্রাফিক পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন,মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে যাতে দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে না পারে। পাশাপাশি মাইক্রোবাসে যাত্রী নেয়া হলে গাড়ির নামে মামলা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads