• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

জাতীয়

একই পরিণতি হতে যাচ্ছে কিউকমের!

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের পর একই পরিণতি হতে যাচ্ছে কিউকমের। প্রতিষ্ঠানটি তাদের সব দাপ্তরিক কার্যক্রম ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাসা থেকে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদেরও প্রতিষ্ঠানটির অফিসে না আসতে বলা হয়েছে। এর আগে ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জও তাদের কর্মীদের হোম অফিসে পাঠিয়েছিল। এখন প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের পর এবার কিউকমও বন্ধ হতে চলেছে? গত শুক্রবার বিকাল ৪টা ৮ মিনিটে কিউকম তাদের ফেসবুক পেজে করা এক পোস্টে বলেছে, ‘সম্মানিত গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিউকমের সকল ফিজিক্যাল সাপোর্ট বন্ধ থাকবে এবং সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী হোম অফিসের মাধ্যমে সেবা প্রদান করবেন। তাই সকল সম্মানিত গ্রাহকদের কিউকমের অফিসে না আসার অনুরোধ করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আরজে নীরবের নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। গত মঙ্গলবার বিকালে প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে আরেক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, বুধবার রাত ১১টায় লাইভে আসবেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়া এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা আরজে নীরব। ওই স্ট্যাটাসে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ‘কিউকমের বর্তমান অবস্থা, চলমান কাজকর্মের আপডেট, চলমান ডেলিভারি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পানা, ডেলিভারি, চেক ইস্যু, ফোস্টার পেমেন্ট গেটওয়ে, মূল অ্যামাউন্ট ফেরতসংক্রান্ত ইস্যুসহ সমসাময়িক বিষয়াদির আপডেট নিয়ে কথা বলতে ২২ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় কিউকম-এর অফিশিয়াল পেজ থেকে লাইভে আসবেন মো. রিপন মিয়া (ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কিউকম লি.), সঙ্গে লাইভ সঞ্চালনকারী হিসেবে থাকছেন আর জে নীরব।’

ওই পোস্টের নিচে মেহেদী হাসান খান নামে একজন মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘লাইভে এসে কী লাভ ভাই, মানুষের মূল টাকা নিয়ে আপনারা যে কাহিনি শুরু করছেন, দয়া করে মানুষের টাকাগুলো দিয়ে দেন।’

জন আবেদিন জনি নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘অপেক্ষা করেন, খুব শীঘ্রই আইনি কার্যক্রমে আসবেন।’

এ ছাড়া অনেকেই লাইভে আসার পক্ষে-বিপক্ষে নানা মন্তব্য করেছেন। কেউ এই লাইভকে আতঙ্ক হিসেবে দেখছেন। কারণ এর আগে ইভ্যালির সিইও মো. রাসেলও লাইভে এসে নানা প্রতিশ্রুতি দেন; কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি।

সম্প্রতি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষ গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা লোপাট করার দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ছাড়া আরেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনার পরিচালক রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। রাসেলকে পুলিশ দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পেয়েছে। আর শামীমা নাসরিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads