• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

জাতীয়

জামিন পেলেন সেই ঝুমন দাস

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাস জামিন পেয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।

গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শানে রিসালাত সম্মেলন নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এতে হেফাজতের তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য দেন। ওই সমাবেশের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন দিরাইয়ের পার্শ্ববর্তী উপজেলা শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস।

তিনি তার স্ট্যাটাসে মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন। তবে এ সমালোচনাকে ইসলামের সমালোচনা বলে এলাকায় অপপ্রচার চালাতে থাকে মামুনুলের অনুসারীরা। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এর পরদিন কয়েক হাজার লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে গ্রামের সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ঝুমন দাসের বাড়িসহ হাওরপাড়ের হিন্দু গ্রামের প্রায় ৯০টি বাড়ি ও মন্দিরে ভাঙচুর-লুটপাট করে।

এরপর গত ২২ মার্চ ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় কয়েক দফায় জামিন আবেদন খারিজের পর ঝুমন দাস হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

এদিকে ঝুমন দাসের জামিন চেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থনে পৃথক কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন সংগঠন।

ঝুমন দাসের স্ত্রী সুইটি রানী দাস সাংবাদিকদের বলেন, তাদের ১১ মাস বয়সী একটি কন্যা শিশু রয়েছে। ঝুমন দাস কারাগারে থাকায় তারা নানা সংকটের মধ্যে রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে কিছু বললে তাতে ধর্মের অবমাননা হয় কীভাবে? যারা হামলা করল তাদের সবাই জামিন পেয়ে মুক্ত হয়ে গেল। কিন্তু আমার স্বামী ঝুমন দাস জামিন পান না। তাকে এখনো কারাগারে রাখা হয়েছে। এটা কেমন বিচার? কেমন আইন?

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads