• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
১৯ হাজার ছাড়াল ডেঙ্গু রোগী, মৃত্যু ৭৩

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

শিশুরাই বেশি আক্রান্ত

১৯ হাজার ছাড়াল ডেঙ্গু রোগী, মৃত্যু ৭৩

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ অক্টোবর ২০২১

দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। চলতি বছর এ রোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশের সরকারি-বেসরকারি অধিকাংশ হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা। গত একদিনে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯৭ জন। এসময়ে মারা গেছেন দুইজন। ভর্তি হওয়া অধিকাংশ রোগীই রাজধানীর বাসিন্দা। রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১৫১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অধিকাংশই শিশু। গত একদিনে হাসপাতালে ভর্তি ১৯৭ ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে ৪২ দশমিক ১ শতাংশ রোগীর বয়স শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে শূন্য থেকে ১ বছর বয়সী রোগীর সংখ্যা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীর সংখ্যা ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট আক্রান্ত ১৯৭ জনের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১৫ দশমিক ১ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১১ দশমিক ৯ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৭ দশমিক ১ শতাংশ এবং ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী রয়েছেন শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট ১৯ হাজার ১৩৩ জন রোগীর মধ্যে এখন ভর্তি আছেন ৯০১ জন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৭৩ জন মারা গেছেন আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৮ হাজার ১৫৯ জন।

বর্তমানে ভর্তি থাকা ৯০১ জন রোগীর মধ্যে নতুন ভর্তি হওয়া রোগী ১৯৭ জন। তারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঢাকার ৪৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি আছেন ৭৩১ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৭০ জন।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি ১৯ হাজার ১৩৩ জনের মধ্যে জানুয়ারিতে ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে তিনজন, মে’তে ৪৩ জন, জুনে ২৭২ জন, জুলাইয়ে দুই হাজার ২৮৬ জন, আগস্টে সাত হাজার ৬৯৮ জন, সেপ্টেম্বরে সাত হাজার ৮৪১ জন এবং অক্টোবরের ৫ তারিখ পর্যন্ত ৯৩৬ জন রোগী ভর্তি হন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads