• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ন্যামভুক্ত দেশে শ্রমের অবাধ চলাফেরা চায় বাংলাদেশ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

ন্যামভুক্ত দেশে শ্রমের অবাধ চলাফেরা চায় বাংলাদেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ অক্টোবর ২০২১

মহামারি করোনা পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মূলধন, প্রযুক্তি ও শ্রমের অবাধ চলাচল চেয়েছে বাংলাদেশ। ৬০তম ন্যাম সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এই কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ড. মোমেন বলেন, ন্যামকে তার সদস্য পদের মধ্যে মূলধন, প্রযুক্তি এবং শ্রমের অবাধ চলাফেরার অনুমতি দিতে হবে। শুধু তাই নয়, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস এবং এসডিজির প্রধান প্রধান লক্ষ্য অর্জনে আয়ের আরো ন্যায়সঙ্গত বণ্টনের উদ্যোগ নিতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে ন্যামের প্রাসঙ্গিকতার ওপর জোর দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ, সহিংসতা ইত্যাদি চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক জায়গায় মানুষের মৌলিক অধিকার এখনো অটুট রয়েছে। তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা তুলে ধরে এ সমস্যা সমাধানে ন্যামকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এ সময় মোমেন করোনার টিকার অ্যাক্সেস ও টিকা নিয়ে বৈশ্বিকভাবে যে বৈষম্য চলছে তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, টিকা রাজনীতির কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণে অনেক দেশ ব্যর্থ হয়েছে। অবিলম্বে করোনার টিকাকে বৈশ্বিক জনস্বার্থ বিবেচনা করে টিকা নিয়ে যেসব বৈষম্য হচ্ছে তা দূর করতে হবে।

গত ১১ ও ১২ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী ন্যামের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। এতে নেপাল, কুয়েত, সৌদি আরব, ভারত, ইরাক, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, জিম্বাবুয়ে, উগান্ডা, গাবন, গাম্বিয়া, সুদান, হাইতি, অ্যাঙ্গোলা, ফিলিস্তিনসহ ৭০টির বেশি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আজারবাইজান এবং সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টের সহ-সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব এবং সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সভাপতি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads