• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

১৭ নথি গায়েব নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জিডি

দুর্নীতি খেয়ে ফেলছে স্বাস্থ্য খাত!

  • এম এ বাবর
  • প্রকাশিত ৩১ অক্টোবর ২০২১

কোনো অবস্থায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। সেবার মান বাড়াতে এই খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েও আসছে না কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। এ ছাড়া অনিয়ম তো আছেই। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালের ক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরসহ সরকারি হাসপাতালের অসাধু কর্মকর্তাদের একটি চক্র এই দুর্নীতির মূল হোতা। ফলে স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটাসহ উন্নয়ন বরাদ্দের শতকরা ৮০ ভাগই দুর্নীতির পেটে চলে যায়। তারা কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করছে। হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি না কিনেই ভুয়া বিল-ভাউচারে টাকা তুলে নিচ্ছে। যে দামে যন্ত্রপাতি কিনছে, তার অনেকগুণ বেশি টাকার বিল করছে। আবার প্রয়োজন ছাড়াই মেডিকেল সরঞ্জাম কিনছে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ তৈরির জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপতাল এবং  রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সংক্রান্ত নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা খাতের জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি ও জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) বেশ কিছু কর্মসূচি ও সংস্থার কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। 

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ নথি গায়েব হওয়ায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাদিরা হায়দার, যার জিডি নং ২০/১৭। 

এ বিষেয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, ফাইল হারিয়ে যাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার একটি জিডি হয়েছে। শনিবার সচিবালয় বন্ধ থাকারয়  রোববার থেকে তদন্ত শুরু হবে। একাধিক সূত্র জানায়, ফাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ সুপার মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ‌ক্রাইম সিন ইউনিট সচিবালয়ে যায়। সিআইডির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। জিডি করার ৪৮ ঘণ্টা পরও ফাইলগুলো কে সরাল, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি মন্ত্রণালয় বা পুলিশ, কোনো পক্ষই।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো হারিয়ে যায়। শাহাদৎ হোসাইন সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন। পাশের লাগোয়া ঘরটিতে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা। ফাইলগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল।

মন্ত্রণালয় যে জিডি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ২৭ অক্টোবর অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। যে নথিগুলো খোয়া গেছে, সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত।

জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটাসংক্রান্ত একাধিক নথি। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, নিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়সংক্রান্ত নথি। এর বাইরেও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে।

জিডিতে উল্লেখ করা গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের কেনা কাটার দুর্নীতি বিষয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৯২৪ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল ৭ তলা হাসপাতাল ভবনকে ১৫ তলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা। আরো ছিল কলেজের একাডেমিক ভবন ও শিক্ষার্থীদের জন্য ডরমিটরি নির্মাণ। গত জুনে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ৪০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়। এ সময় প্রকল্পের সময় আরো দুই বছর এবং ব্যয় ১ হাজার ৯৬ কোটি টাকায় উন্নীত করতে গত ২৪ ডিসেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে তখনই কেনাকাটায় নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। এরপর পুরো প্রকল্পের নথিপত্র তলব করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কেনাকাটায় দুর্নীতিগুলো হলো- রক্তের রোগ থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ে পরীক্ষার জন্য একটি ইলেকট্রোফোরিসেস হিমোগ্লোবিন যন্ত্র কিনতে খরচ ধরা হয়েছিল ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু নেদারল্যান্ডস থেকে তা কেনা হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায়। অর্থাৎ প্রায় আটগুণ বেশি ব্যয়ে যন্ত্রটি কেনা হয়েছে। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনে যোগাযোগ করে জানা গেছে, সেখানে এ ধরনের একটি যন্ত্র আছে। ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তরা জানান, এই যন্ত্রের দাম ২০ লাখ টাকার মধ্যে।

আবার একটি অ্যানেসথেসিয়া ভেন্টিলেটরের দাম ধরা ছিল ৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা। কিন্তু যুক্তরাজ্য থেকে ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে ১২ গুণ বেশি দামে, ৫৭ লাখ ২৯ হাজার টাকায়। চোখে ছানি পড়ার পর লেন্স লাগানোর কাজে ব্যবহূত হয় ফ্যাকো ইমালসিফায়ার। এটি আমদানিতে খরচ ধরা হয়েছিল ২০ লাখ টাকা, কিন্তু কেনা হয়েছে ৯৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকায়। প্রকল্পে ১২টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর আমদানি করার কথা, দাম ধরা ছিল প্রতিটি ৫ লাখ টাকা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা প্রতিটি আইসিইউ ভেন্টিলেটরের পেছনে খরচ পড়েছে ৪৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ আটগুণ বেশি দামে ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে।

আবার এই প্রকল্পে কেনাকাটার কথা ছিল না, সেসবও কেনা হয়েছে বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে। যেমন অর্থ বরাদ্দ না থাকলেও টেবিল ফর গাইনোকোলজি কেনা হয়েছে ৩১ লাখ ৮৯ হাজার টাকায়। একইভাবে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে কালার ডপলার আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন উইথ ফোরডি, ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকায় পালস অক্সিমিটার ডেস্কটপ এবং ৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকায় ইসিআর ল্যাব অটোমেশন। 

এর আগে গত বছর সারাদেশে ৩০টি হাসপাতালের কেনাকাটায় আড়াই হাজার কোটি টাকা লোপাট হওয়ার অভিযো পায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এসব দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম এখন দুদকের হাতে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি না কিনেই ভুয়া বিল-ভাউচারে টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৭ লাখ টাকার পর্দা আলোচনায় আসলেও আড়ালে থেকে গেছে স্বাস্থ্য খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের চিত্র। ৩০টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত দুই অর্থ বছরে কেনাকাটায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা গরমিল হয়েছে। ঠিকাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোর এক শ্রেণির কর্মকর্তার যোগসাজশে সরকারি অর্থ লুটপাট হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে মাত্র পাঁচ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে সাড়ে ১৫ কোটি টাকায়। সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স বাদ দিলে এই একটি মেডিকেলেই প্রায় নয় কোট টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এ ছাড়া সাড়ে ছয় হাজার টাকার দুটি অটোস্কোপ কেনা হয়েছে সাড়ে সাত লাখ টাকায়। চার লাখ টাকার একটি ওটি টেবিলই প্রায় পাঁচ লাখ টাকা অতিরিক্ত মূল্য দেখানো হয়েছে। সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সাড়ে ২৫ লাখ টাকার পেশেন্ট মনিটর কেনা হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকায়।

একইভাবে সরকারি অর্থ তছরুপ হয়েছে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল, সাতক্ষীরা, গাজীপুর, ফরিদপুর, নরায়ণগঞ্জ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল, রাজশাহী মেডিকেল, মৌলভীবাজার, গাইবান্ধা সিভিল সার্জন অফিস, সিরাজগঞ্জ এম. মনসুর আলী হাসপাতাল, পাবনা, কক্সবাজার, রংপুর, নোয়াখালী, বগুড়া আড়াইশ শয্যার হাসপাতাল, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ ৩০টি হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটায়।

যেসব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রতিষ্ঠান হলো : শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৫ কোটি ৮২ লাখ ২১ হাজার টাকা। সাতক্ষীরা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। সাতক্ষীরা ম্যাটস ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজে ১৫৮ কোটি ৩১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০০ কোটি টাকা। নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যাবিশিষ্ট হাসাপাতালে  ১৯ কোটি ১৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে ২৫ কোটি ৭১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ কোটি ৭০ লাখ ৪২ হাজার টাকা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২৩ কোটি ১৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। মৌলভী বাজার আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ১৪ কোটি টাকা। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ৩০ কোটি টাকা। সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ  ২৭৬ কোটি টাকা। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে যন্ত্রপাতির কেনার নামে সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যন্ত্রপাতির চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগশাজশে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। একইভাবে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাপসপাতালে সফটওয়্যার সরবরাহ না করেই ভুয়া বিলে ৬ কোটি ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজে যন্ত্রপাতি দেওয়ার নামে সাড়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় মামলা করেছে দুদক। ঢাকার আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ওষুধ, সার্জিকেল ও প্যাথলজি যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতে করা হয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমাদের দেশে উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ বানানোর একটা মাধ্যম হয়ে গেছে। যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় শুধু পুকুরচুরি নয়, রীতিমতো সাগরচুরিকেও হার মানিয়েছে। মেডিকেল যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি সরকারি অর্থ। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে কেনাকাটার অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখা। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনেরও (দুদক) কাজ আছে। যারা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নইলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads