• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ব্যাংক লেনদেনে মিথ্যা তথ্য দিলে ৩ বছরের জেল

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

ব্যাংক লেনদেনে মিথ্যা তথ্য দিলে ৩ বছরের জেল

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

ব্যাংক লেনদেনে মিথ্যা তথ্য দিলে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস আইন-২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন করা হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যেসব পেমেন্ট এবং সেটেলমেন্ট হচ্ছে ব্যাংকে, সেখানে কোনো আইন ছিল না। কিছু রেগুলেশন দিয়ে পরিচালিত হতো। বর্তমান অবস্থায় ডিজিটাল লেনদেন হওয়ার কারণে এ আইন নিয়ে আসা হয়েছে।

‘এই খসড়া আইনে ৪৭টি ধারা রয়েছে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার, ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা এ খসড়া আইনে যুক্ত করা হয়নি। ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনো কারেন্সি নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকও একে স্বীকৃতি দেয়নি। ডিজিটাল ব্যাংকিং ডাজ নট মিন ক্রিপ্টোকারেন্সি, এটা খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘খসড়া আইনের ৩৮ নম্বর ধারায় যারা বিভিন্ন রকমের অপরাধ করবে, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। আর ৩৯ ধারাতে ব্যাংক, কোম্পানির মাধ্যমে গৃহীত বা সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে এ কোম্পানির মালিক, পরিচালক, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদেরকে পদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অপসারণের বিধান রাখা হয়েছে। খসড়া আইনে কিছু বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে। কীভাবে লেনদেন হবে, পরিশোধ হবে, পরিচালনা হবে এবং সেবা কীভাবে দেয়া হবে, সেগুলো ৪ এবং ৫ নম্বর ধারায় মেনশন করা হয়েছে। ৪ ধারার বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দিতে পারবে।’

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘ধরুন কাউকে কোনো কারণে সাসপেন্ড করা হলো, তুমি লেনদেন করতে পারবে না, কিন্তু সে যদি আদেশ ভঙ্গ করে লেনদেন করে তাহলে তাকে এ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এটাই সর্বোচ্চ শাস্তি।

‘মিথ্যা তথ্য বা দলিল বা বিবৃতি দিলে অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণে ফি আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ক্ষমতা ও দায়িত্ব প্রিসাইজ করে দেয়া হয়েছে।’

খসড়া আইনটি নগদ, বিকাশসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, ‘পেমেন্টের যে ব্যবস্থাপনা, সে বিষয়ে কোনো আইন ছিল না। কিছু রেগুলেশনের আন্ডারে করা হতো। এখানে দেখা যাচ্ছে যে এটা ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। এগুলো বিধিবিধানগুলোর মধ্যে ছিল না। সে জন্য পুরো পদ্ধতিগুলোকে আলাদা করে আইনে আনা হয়েছে।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads