• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

বর্ষবরণে ডিএমপির ১৬ দফা নির্দেশনা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১

খ্রিস্টীয় নববর্ষ ২০২২ বরণ উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে।

খোলা জায়গায় ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনের কোনও ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ-গান এমনকি সাংস্কৃতিক আয়োজন করা যাবে না। একই সাথে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যানবাহন চলাচলেও।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে নববর্ষ উদযাপন নিয়ে নির্দেশনা তুলে ধরেন ডিএমপি কমিশনার। যাতে ১৬টি নির্দেশনা দেয়া হয়। জানানো হয়- উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান, জমায়েত, সমাবেশ বা কোনও উৎসব করা যাবে না। আতশবাজি বা পটকা ফোটানোও নিষেধ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। রাত আটটার পর গুলশান, বনানী ও বারিধারায় প্রবেশ করতে পারবে না বহিরাগতরা। হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না, কেউ অবস্থানও করতে পারবে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সন্ধ্যা ৬টার পর কোনও পানশালা খোলা থাকবে না। হোটলেগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করলেও, তা সীমিত করতে হবে। লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করা যাবে না।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১শে ডিসেম্বর রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে নির্ধারিত অনুষ্ঠানগুলো পালিত হবে। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।

যানবাহন চলাচলেও দেয়া হয়েছে নির্দেশনা। রাত ২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী, বারিধারায় প্রবেশে কাকলী ক্রসিং ও মহাখালী আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করতে হবে। একই এলাকা থেকে বের হতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নম্বর ক্রসিং, চেয়ারম্যানবাড়ি ক্রসিং, নতুন বাজার ক্রসিং ব্যবহার করতে হবে।

সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারি ছাড়া অন্যদের হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর-শহীদ মিনার-জগন্নাথ হলের দক্ষিণ গেট-পলাশী মোড় দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। রাত দুইটা থেকে শাহবাগ, নীলক্ষেত ক্রসিং, বকশী বাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং এবং চানখারপুল-শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে কোনও যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।  

নববর্ষ উদযাপনের বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে র‌্যাবও।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, থার্টি ফার্স্টকে ঘিরে সাইবার ওয়ার্ল্ডে যাতে কেউ কোন প্রকার অপপ্রচার না করতে পারে বা কেউ কোন অপপ্রচার চালালে সাথে সাথে যেন ব্যবস্থা নিতে পারি এজন্য এবার আমাদের সাইবার টিম সতর্ক রয়েছে।

রাজধানীর পাশাপাশি নববর্ষ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সারা দেশেও।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads