করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি নতুন বছরে গতি পাচ্ছে। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে আবারো দেশব্যাপী গণটিকা ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এই ক্যাম্পেইন করা হবে। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে এক মাসে তিন কোটি ৩২ লাখ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনতে চায় সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও টিকা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. শামসুল হক গণটিকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে এই গণটিকা কার্যক্রম আবারো শুরু হতে যাচ্ছে। এবারের কার্যক্রম শহর এলাকার পাশাপাশি প্রতিটি গ্রাম ও ওয়ার্ডে চলবে। ওয়ার্ডের যেসব স্থানে ইপিআই কেন্দ্র আছে, সেসব জায়গায় এই গণটিকা দেওয়া হবে।
অধ্যাপক ডা. শামসুল হক জানান, শুধু জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সারা দেশে অন্তত তিন কোটি মানুষকে এই টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
সরকারের। সেই লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশের চার হাজার ৬১১টি ইউনিয়নে মোট এক লাখ ১০ হাজার কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনশ ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই ক্যাম্পেইনে শুধু প্রথম ডোজ দেয়া হবে। পরবর্তীতে তাদেরকে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে টিকা পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে নতুন বছরের চমক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে দেশে প্রথম গণটিকাদান কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয় গত ৭ আগস্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ওই কর্মসূচির আওতায় ছয় দিনে দেশে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছিলেন ৫০ লাখ ৭১ হাজার মানুষ। এরপর গত ৭ সেপ্টেম্বর এ টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হয়ে চলে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেবল ঢাকায়। ঢাকার বাইরে চলে আরও তিন দিন ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে নিয়মিত টিকাকেন্দ্র ও গণটিকাদান কর্মসূচির তথ্য আলাদাভাবে না আসায় এই কর্মসূচিতে ঠিক কতজন টিকা পেয়েছেন তা জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষ গণটিকাদান কর্মসূচি ঘোষণা করে। সে দিন দেশে ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯২২ ডোজ টিকার প্রয়োগ হয়। বাংলাদেশে একদিনে করোনাভাইরাসের টিকাদানের এটাই রেকর্ড।