• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
গুলিয়াখালী সৈকতকে সংরক্ষিত ঘোষণা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

গুলিয়াখালী সৈকতকে সংরক্ষিত ঘোষণা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ জানুয়ারি ২০২২

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। ওই সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

গতকাল সোমবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শ্যামলী নবীর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের প্রায় ২৬০ একর এলাকাকে ‘পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের কারণে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও আছে।

অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ ও এ ধরনের কার্যক্রম ঠেকাতে বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০-এর ৪ ধারা অনুযায়ী সমুদ্র সৈকতটিকে ‘পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আ স ম জামশেদ খোন্দকার বলেন, পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। প্রজ্ঞাপন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছে এসেছে। আমরা অবশ্য আগে থেকেই এই সমুদ্র সৈকতকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। একটা সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। সৈকতে যাওয়ার সড়কগুলো চওড়া করার কাজ শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের তীরের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের আয়তন জেলা প্রশাসনের হিসেবে ২৫৯ দশমিক ১০ একর। সীতকুণ্ড বাজার থেকে আনুমানিক ৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এই সৈকতটির নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের কথা ২০১৪ সাল থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বিস্তির্ণ ঘাসের সবুজ গালিচা অন্যান্য সৈকতের চেয়ে এই সৈকতকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। সাগরের ঢেউ, কেওড়া বন, সবুজ ঘাস- সব মিলিয়ে প্রকৃতির অপরূপ আয়োজন এই সৈকতে।

কক্সবাজার কিংবা পারকি সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতেও বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে। তবে যাতায়াত ব্যবস্থা অনুকূলে না থাকা এবং নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাও আছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads