• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

আজ থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ায় আজ খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাচ্ছে। তবে প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে আগামী দোসরা মার্চ থেকে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তেসরা ফেব্রুয়ারির নির্দেশনায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আজ থেকে খুলে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রথমে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে। ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের স্কুল খুলছে আরো প্রায় দুই সপ্তাহ পরে। সব শিক্ষার্থী সশরীরে ক্লাস করার এই সুযোগ পাচ্ছে না। যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছে তারাই শুধু সশরীরে ক্লাস করতে পারছে। বাকিদের ক্লাস করতে হচ্ছে অনলাইনে বা অন্যান্য মাধ্যমে। তবে এখনো প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়নি।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ ২০ নির্দেশনা দিয়ে এ বিষয়ে একটি আদেশ  জারি করেন।

এতে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে আগের ‘গাইড লাইন’ এর নির্দেশনা ছাড়াও তার আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০টি নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

যা আছে গাইডলাইনে-

১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে সব শিক্ষার্থী কোডিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছে সে সব শিক্ষার্থী সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে;

এক লাখ মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণএক লাখ মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণ
২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখসহ অন্যান্য স্থানে কোডিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে করণীয় বিষয়সমূহ ব্যানার বা অন্য কোনো উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা;

৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে সব শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করা;

৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন/ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরম-এ শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে;

৫. শিক্ষার্থীদের জন্য বিতরণকৃত অ্যাসাইনমেন্ট সমূহের কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।

৬. শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন ইতোপূর্বে প্রেরিত নির্দেশনা মোতাবেক প্রণয়ন করতে হবে;

৭. শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সবগুলো প্রবেশ/প্রস্থান মুখ ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা। যদি মাত্র একটি প্রবেশ/প্রস্থান মুখ থাকে সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশ/প্রস্থান মুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা;

৮. প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করা;

৯. প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া আসা করবে সেই বিষয়ে তাদেরকে শিক্ষাণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং প্রদান করার ব্যবস্থা করা;

১০. প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত রাখা;

১১. প্রতিষ্ঠানের সব ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ এবং আঙ্গিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করা;

১২. প্রতিষ্ঠানের সব ওয়াশরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা।

১৩. প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, অভিভাবকসহ অন্য কেউ প্রবেশ/অবস্থান/প্রস্থানের সময় সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা;

১৪. প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী এবং অন্য কেউ সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করা;

১৫. প্রতিষ্ঠানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দ্বারা হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা;

১৬. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা। এক্ষেত্রে পারস্পরিক ৩ (তিন) ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা;

১৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ড্রেন ও বাগান যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা:

১৮. প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নিরূপণ করা।

১৯. প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত করা;

২০. প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে সভা করে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads