• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
আজ উদ্বোধন পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের  

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

আজ উদ্বোধন পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের  

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ মার্চ ২০২২

পটুয়াখালীর কলাপাড়া ধানখালীতে নির্মিত পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন শেষে বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় এক সংক্ষিপ্ত সুধী সমাবেশেও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তার সফরকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যপক প্রস্তুতি।

পটুয়াখালীর মানুষ অধীর আগ্রহে রয়েছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায়। পটুয়াখালী উপকূলীয় জেলাসহ দক্ষিণ জনপদে বইছে আনন্দের বন্যা। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, আজ প্রধানমন্ত্রী পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। এ সময় সুধীজনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায়ও যোগ দেবেন তিনি।

পটুয়াখালীর পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মাওলা জানান, ২০২০ সালের ১৫ মে থেকে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে এবং ওই বছরের ডিসেম্বরে দুটি ইউনিটে মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা লাভ করে। তবে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ না হওয়ায় এখন একটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। তবে এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে।

এদিকে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে সেখানকার গ্রামীণ জনপদ আমূল পরিবর্তন এসেছে। লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০ পরিবার ঠাঁই পেয়েছে নবনির্মিত আবাসনে।

সর্বাধুনিক আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মাণ হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অত্যাধুনিক ঢাকনাযুক্ত কোলডোম ব্যবহার করেছে, যার কারণে পরিবেশের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) মালিকানায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ‘পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র’ নামে তৈরি হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম অংশে দুটি ইউনিট নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পাশপাশি প্রবল্পের ২য় অংশে আরো ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এতে জাতীয় গ্রিডে পায়রা থেকে মোট ২৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।

এর আগে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যৎকেন্দ্রে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০ পরিবারের জন্য নির্মিত আবাসন প্রকল্প ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ উদ্বোধন করেছিলেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০ পরিবারের মাঝে বাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেঘাওয়াট তাপ বিদুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads