• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

‘পজিটিভ ঢাকা’র উদ্যোগ

‘ভালো থাকুক ফুলগুলো’

  • সালেহীন বাবু
  • প্রকাশিত ০৩ এপ্রিল ২০২২

‘পজিটিভ ঢাকা’ একটি মানবিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন।  সংগঠনটি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যথেষ্ট অবদান রাখতে পারে। পজিটিভ ঢাকা সবসময়ই অসহায়ের পাশে থাকার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারই ধারাবাহিকতায় ‘সেরা রক্তদাতা-২০২১’- দের নিয়ে সংগঠনটির ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ‘ভালো থাকুক ফুলগুলো’। সকল ‘সেরা রক্তদাতা-২০২১’ নিয়ে গত  মঙ্গলবার ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। ‘ভালো থাকুক ফুলগুলো’ শিরোনামের কারণ, আমাদের উদ্দেশ্য ক্যানসার আক্রান্ত বাচ্চাদের একটি সুন্দর মুহূর্ত উপহার দেওয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডা. রাশেদ জাহাঙ্গীর কবির (সহকারী অধ্যাপক, পেডিয়াট্রিক অনকোলজি)সহ উক্ত হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ।

সংগঠনটি বিশ্বাস করে, প্রকৃত সৃষ্টির সেবক তো তারাই যারা কোনোরকম বিনিময় ছাড়াই নিজের রক্ত ও সময় দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ান। একজন অসহায় মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে একজন রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবী তৃপ্তি পান। এরই ধারাবাহিকতায় সেরা রক্তদাতাগণ ক্যানসার আক্রান্ত ৪০টি বাচ্চার হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেন লাল টুপি, লাল-সবুজের পতাকা, রবি কিউব, স্পিনার, খেলনা গাড়ি, গল্পের বই, চকলেটসহ এক বেলার খাবার। তার পাশাপাশি হাসপাতালে পরিলচালক, কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স এবং রক্তদাতাদের নিয়ে রোগীর স্বজনদের উদ্দেশে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল রক্তদাতা কীভাবে যোগাড় করা যায়, ক্যানসারসহ সকল রোগাক্রান্ত মানুষগুলো মানসিক সুস্থতা কীভাবে নিশ্চিত করবে সে সম্পর্কে পজিটিভ বার্তা তুলে ধরা।

‘পজিটিভ ঢাকা’র মানবিক কাজগুলোর প্রতি একাগ্রতা প্রকাশ করে পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সমাজের সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসলে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।’ সেই সাথে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সবাইকে দালালচক্র হতে সাবধান করেন। আলোচনার এক পর্যায় ডা. রাশেদ জাহাঙ্গীর কবির সবার উদ্দেশে বলেন, ‘ক্যানসার হলেই মানুষ মারা যায় এটি একটি ভুল ধারণা। যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসা, মানসিকভাবে শক্তি অর্জন এবং সঠিক পথ্যের মাধ্যমে ক্যানসার রোগ ভালো হওয়া সম্ভব। তাই রোগকে ভয় না পেয়ে রুগীকে মানসিক শক্তি দিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।’

তিনি আরো বলেন-‘রক্তদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় পরিবারের সদস্য প্রাপ্তবয়স্ক বা ১৮ বছর হলেই রক্তদানে উৎসাহিত করবেন।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads