• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
নিউ মার্কেট এলাকা রণক্ষেত্র

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

নিউ মার্কেট এলাকা রণক্ষেত্র

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ এপ্রিল ২০২২

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দোকান কর্মচারীদের তর্কবিতর্কের জেরে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা। একপর্যায়ে আগুন ধরে যায় নূরজাহান মার্কেটে। ফায়ার সার্ভিসের আধা ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ১০ সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। আর ঘটনা সামাল দিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয় ঢাকা কলেজ। এ সংঘর্ঘ চলাকালে দুপুর পর্যন্ত পুলিশকে নিস্ক্রিয় দেখা যায়। পরে টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।  

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৪০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের মধ্যে ২৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে রয়েছেন হলেন, ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাহাত হোসেন (২২), তৃতীয় বর্ষের মো. জসিম (২৩), তৃতীয় বর্ষের সাদমাম তাজ আপন (২৩) ও অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আলী হোসেন (২২)। দীপ্ত টিভির প্রতিবেদক আসিফ (২২), ক্যামেরাম্যান ইমরান লিপু (৩৫) ও এসএ টিভির সিনিয়র ক্যামেরাম্যান মো. কবির হোসেন (৩৮)।

আর নিউ মার্কেটের আহত ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন, মো. সাজ্জাদ (২৫), মো. সেলিম (৪২), মো. রাজু (১৬), মো. কাওছার আহমেদ (১৮), মো. আপেল (১৬), মো. সাগর (১৮), মো. রাসেল (১৫), মো. রাহাত (১৯), মো. আরাফাত (১৮). মো. নাজমুল (২০), মো. রায়হান (১৭), মো. আরিয়ান (১৮), মো. রাসেল (২৬), মো. হূদয় (১৮), মো. মেহেদী (১৭), মো. শুকুর আলী (১৯), মো. আকন (১৮), মো. নাসির (২৪), মো. রিয়াজ (১৮), মো. সাজ্জাত হোসেন (১৮)।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, গত সোমবার রাত ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর আড়াই ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া চলে। শেষ পর্যন্ত রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে নিউ মার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান জানান।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই রাতে দাবি করেছিল, নিউ মার্কেটে তর্কাতর্কির জেরে দোকানকর্মীদের মারধরের শিকার হন তিন ছাত্র। সেখান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। আর গতকাল সকালে ব্যবসায়ী, পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় একটি খাবারের দোকানে কথা কাটাকাটির জেরে।

নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির নেতা শাহীন আহমেদ বলেন, নিউ মার্কেটের ৪ নম্বর গেটের কাছে একটি খাবারের দোকান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। ওই খাবারের দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বাকবিতণ্ডার পর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধ হয়ে এসে হামলা চালায়। রাতে ছাত্ররা অগ্নিসংযোগেরও চেষ্টা করে, কয়েকটি দোকানে লুটতরাজ চালায়।

এদিকে, সাখাওয়াত হোসেন নামে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, চতুর্থ বর্ষ আর মাস্টার্সের তিন শিক্ষার্থী রাতে খেতে যায়। দাম যা আসছে তার চেয়ে একটু কম দিতে চেয়েছিল তারা। এসময় ঝগড়ার এক পর্যায়ে দোকানে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে শিক্ষার্থীদের গুরুতর জখম করে দোকানিরা। এই খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা গিয়ে ভাংচুর চালায়। এরপর ব্যবসায়ী ও পুলিশ ধাওয়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে দেয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, রাতে কয়েক দফায় পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের দিক থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। আর ছাত্রদের এই দিক থেকে বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এতে ৭ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ মোট ১৫ জন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে নিউ মার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহেন শাহও বলেছেন, নিউ মার্কেট এলাকায় একটি খাবারের দোকানে ‘দাম দেওয়া-নেওয়া নিয়ে’ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীসহ চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। অন্য জনকে স্থানান্তর করা হয় অন্য হাসপাতালে। মোশাররফ হোসেন নামে ম্যানেজমেনট চতুর্থ বর্ষের ওই শিক্ষার্থীকে স্কয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছে জানিয়ে উপ-কমিশনার শাহেন শাহ বলেন, তার অবস্থা এখন ‘স্থিতিশীল’।

এই ক্ষোভ থেকেই গতকাল সকালে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আবারো সড়কে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীদের হুমকির পরিপ্রেক্ষিত্রে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকনপাট বন্ধ করে রাখে। একপর্যায়ে  শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মানববন্ধন করতে রাস্তায় জড়ো হয়। এ সময় ব্যবসায়ীরাও বেরিয়ে এলে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।

কলেজের সামনের সড়কে লাঠি, রড হাতে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের ঢিল ছুড়তে দেখা যায়। অন্যদিকে নিউ মার্কেট ওভারব্রিজ এলাকায় অবস্থান নিয়ে থাকা দোকান কর্মচারীরা পাল্টা জবাব দেয়। এরপর হাজার হাজার দোকান কর্মচারী লাঠি আর ইট নিয়ে রাস্তায় অবস্থান নেন। আর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ ফটকের সামনে এবং হলের ছাদে অবস্থান নেয়।

এসময় রাস্তায় অনেকের হাতে লাঠি আর মাথায় হেলমেট দেখা যায়। ঢিল বৃষ্টির মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফের টিয়ার শেল ছুড়ে পুলিশ। কয়েকটি বিস্ফোরণেরও আওয়াজও পাওয়া যায়।

জানা গেছে, রাতের সংঘর্ষের পর থেকেই সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় থেকে নিউ মার্কেট পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল, গতকাল সকালে সংঘর্ষ শুরুর পর রাস্তায় কাঠসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র জড়ো করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই সংঘর্ষের কারণে সায়েন্স ল্যাব থেকে নিউ মার্কেট পর্যন্ত সব বিপণিবিতান বন্ধ হয়ে যায়।

নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, সব পক্ষকে শান্ত করে রাত ৪টার দিকে আমরা বাসায় ফিরেছিলাম। আমরা ছাত্রনেতাদের কথা দিয়েছিলাম যে ব্যবসায়ীরা আর সংঘর্ষে জড়াবে না। কিন্তু সকালে ছাত্ররা আবার সড়ক অবরোধ করে। ফলে পাশে চাঁদনীচক, গাউছিয়া ও অন্যান্য মার্কেটের ব্যবসায়ীরা আবার একত্রিত হয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

নিউ মার্কেট মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য রাজ্জাক জানান, মূল সড়ক বন্ধ থাকায় যানবাহনকে ঘুরে যেতে হচ্ছে। তাতে আশপাশের সব সড়কে চাপ পড়ছে। নীলক্ষেতের দিকে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।

এদিকে এই সংঘর্ষের পর ঢাকা কলেজের হল বন্ধ ও গতকাল বিকেলের মধ্যে হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এটিএম মইনুল হোসেনের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়, ঢাকা কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জানানো যাচ্ছে যে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৯ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত ঢাকা কলেজের হল বন্ধ ঘোষণা করা হলো। আর বিকেলের মধ্যে ছাত্রাবাস খালি করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এসময় হল ছাড়ার এই সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন শিক্ষার্থীরা। তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে অবরুদ্ধ করে হল বন্ধের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। শিক্ষার্থীরা তার কক্ষ ভাঙচুর করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই সংঘর্ষে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ সাংবাদিক। এ সময় ব্যবসায়ীরা তাদের বেধড়ক পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক। আহতদের মধ্যে  দীপ্ত টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আসিফ জামান সুমিত ও ক্যামেরাপারসন ইমরান লিপুও রয়েছেন। তাদের রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন শাহেদ শফিক।

সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নীলক্ষেত অংশে অবস্থান নেন তারা। সেখানে ব্যবসায়ীরা দল বেঁধে দাঁড়িয়েছিলেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহেদ শফিক জানান, নিউ মার্কেটের সামনে যে ফুটওভার ব্রিজ আছে তার নিচে দীপ্ত টিভির রিপোর্টার ও ক্যামেরাপারসনকে হকাররা লোহার রড দিয়ে মারছিল। তখন তাদের মাথা থেকে অঝোরে রক্ত ঝরছিল।

এই দৃশ্য দেখে সহকর্মীদের বাঁচাতে ছুটে যান শাহেদ। তিনি বলেন, বেশ কয়েকজন হকার যারা তাদের মারছিল, তাদের আমি থামানোর চেষ্টা করি। তখন আমাকেও পেছন থেকে পেটানো হয়েছে। সেখানে থেকে কোনোমতে দীপ্ত টিভির দুই সহকর্মীকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলে আসেন তারা। পরে আহত দুই সাংবাদিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

আরটিভির সিনিয়র রিপোর্টার আতিকা রহমান জানিয়েছেন, আরটিভির ক্যামেরাপারসন সুমন দে, মাইটিভির রিপোর্টার ড্যানি দ্রং, এসএ টিভির রিপোর্টার তাইফুর রহমান তুহিন, ক্যামেরাপারসন কবির হোসেনও সংঘর্ষের সময় ব্যবসায়ীদের হামলায় আহত হয়েছেন।

সময় টিভির সিনিয়র রিপোর্টার বুলবুল রেজা জানিয়েছেন, দুপুর ১২টার সংবাদে সরাসরি সম্প্রচারে অংশ নিতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের আক্রমণের মুখে পড়েন। শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে সংবাদ প্রচার করছেন বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। সাংবাদিক বুলবুল তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি যা দেখছেন তাই দর্শকের উদ্দেশে তুলে ধরছেন।

কিন্তু আক্রমণাত্মক ব্যবসায়ীরা বুলবুল রেজাকে মারধর করেন। এ সময় আহত হন সময় টিভির দায়িত্বরত ক্যামেরাপারসন রুবেল হোসেন। তখন সরাসরি সম্প্রচারের ডিভাইসটি ছিনিয়ে নেন তারা। অবশ্য ব্যবসায়ীদের অন্য আরেকটি অংশ পরে সেটি ফিরিয়ে দেন বলেও জানিয়েছেন বুলবুল রেজা।

অন্যদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতারা। গতকাল  বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ এবং ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এক বিবৃতিতে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

নেতারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় তারা যেই হোক না কেন তাদের পরিচয় তারা সন্ত্রাসী। অতীতে বিভিন্ন সময়ে এভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সেসব হামলাকারী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মহলের মদদে পার পেয়ে যাওয়ায় এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটছে। এ সন্ত্রাসীরা দেশ, জাতি ও সরকারের শত্রু। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চায়। এ ধরনের অপকর্মকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। নিউমার্কেট এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার আহত সাংবাদিকদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান নেতারা।

এরআগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে যান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। ভেতরে পুকুর ঘাটে গাড়ি থেকে নামার পরই তাকে ঘিরে ধরেন নেতাকর্মীরা। লেখকের সামনেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন তারা।

এ সময় এক কর্মীকে বলতে শোনা যায়, আপনি তামশা দেখতে আসছেন। আরেকজন বলেন, ‘কেন আসছেন? সারাজীবন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগরে বাঁচাইলাম। রাত থেকে ঝামেলা চলছে। আপনাদের কেউ আসলেন না।’

জটলার মধ্য থেকে কয়েকজনকে লেখকের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায়। গালি-গালাজও করেন অনেকে। তবে এ সবের প্রতিউত্তরে নীরব ছিলেন লেখক। বলেননি একটি শব্দও। এ সময় নিজের মোবাইল ফোন বের করে কথা বলতে দেখা যায় তাকে।

 

দীর্ঘদিন ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি না হওয়ার জন্যও লেখকের প্রতি ক্ষোভও ঝাড়েন নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা দাবি করেন, কলেজের ছাত্রলীগের কমিটি থাকলে ব্যবসায়ীরা এতো সাহস পেত না। এরপর লেখক বলেন, কমিটি দিলেতো রাখতে পারো না। কমিটি থাকলে আজকে যে দুজন দায়িত্বে থাকতো, তাদেরতো বহিষ্কার করা লাগতো। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads