• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

জাতীয়

মোশাররফ রুবেলের কবর সংরক্ষণের নির্দেশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৪ এপ্রিল ২০২২

বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল। যেখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে কবরের জায়গা পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রীর দাবির প্রেক্ষিতে স্থায়ীভাবে রুবেলের কবর সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

জানা গেছে, ক্রিকেটার রুবেলের কবর সংরক্ষণে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন মেয়র আতিকুল।

রোববার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মেয়র আতিকুল ইসলাম এই মুহূর্তে ওমরা পালনে পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থান করছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমে আবেদনটি জেনে কবরটি সংরক্ষণ করতে এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেলের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মেয়র বলেছিলেন, মোশাররফ হোসেন রুবেল নিজের জন্য খেলেনি, দেশের জন্য খেলেছেন। তার অবদান দেশের মানুষকে গর্বিত করেছে। সে কারণে তার কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করছি।

ক্রিকেটার রুবেলের স্ত্রী ও শিশু সন্তানের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যে মানুষটি বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছেন সে মানুষটি চিরবিদায়ের বেলায় এক টুকরো মাটি পাবে না, তা হতে পারে না।

বনানী কবরস্থানের নিয়ম অনুযায়ী দুই বছর পর কবর পরিবর্তন হয়ে যায়। যদি কেউ কবর স্থায়ী করতে চায়, তবে তাকে প্রচুর অর্থ দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গা কিনে নিতে হয়। আর সেটি নিজেদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে কাঁদতে কাঁদতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন রুবেলের স্ত্রী ফারহানা রুপা।

স্বামীর কবর এখান থেকে স্থানান্তর করা হোক সেটা তিনি চান না। আর তাই প্রধানমন্ত্রী ও মেয়রের কাছে তিনি আবেদন করেন, বনানী কবরস্থানে যেন রুবেলের কবর স্থায়ী করা হয়। তাদের সন্তান যেন, জানতে পারে তার বাবা রুবেল চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বনানীর এই কবরস্থানে।

রুবেলের স্ত্রী চৈতির অনুরোধের দুই দিনের মধ্যেই কবর সংরক্ষণের নির্দেশ দিলেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) কান্নাজড়িত কণ্ঠে রুবেলের স্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন ‘রুবেল তো আসলে আমাদের সবার, না? রুবেল তো দেশের জন্য খেলেছে। মাত্র দুই বছরের জন্য সে এখানে। সত্যি বলতে এখানে স্থায়ী করতে হলে অনেক টাকা লাগে। প্রায় এক কোটির মতো। আমাদের কাছে তো এত টাকা নেই। আমি চাই রুবেলের কবরটা স্থায়ী হক। ও যেন একটু মাটি পায়।’

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটাই চাওয়া, আপনি তো অনেককেই অনেক কিছু দেন। ক্রিকেটারদের জন্য অনেক কিছু করেন। রুবেলের মতো মৃত ক্রিকেটারকে কি এক ফোটা মাটির ব্যবস্থা করে দেবেন। শুধু একটি স্থায়ী কবর। আর কিছু চাওয়া নেই আমার।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads