• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
সংবিধানে ৭ মার্চের ভাষণে ১৩৬ ভুল

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

সংবিধানে ৭ মার্চের ভাষণে ১৩৬ ভুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ জুন ২০২২

সংবিধানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে ১৩৬টি স্থানে ভুল পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেদনে বাংলা একাডেমির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানকে (মরহুম) প্রধান করে গঠিত কমিটি এই প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ কমিটির সদস্য সচিব। সদস্যরা হলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন, বাংলাদেশ বেতারের সাবেক উপ-মহাপরিচালক আশফাকুর রহমান, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম গোলাম কিবরিয়া ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস. এম হারুন-অর-রশীদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল ভাষণের তৃতীয় লাইনে খুলনা অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পঞ্চম লাইনে তারা ন্যায্য (অস্পষ্ট) অধিকার চায়। তারা অধিকার চায় অন্তর্ভুক্তি হয়নি। এমনিভাবে ১৩৬টি ভুল ধরে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের সর্বশেষ প্যারায় বলা হয়, ভাইয়েরা আমার, যেভাবে আপনাদের, আপনারা ঠান্ডা হবেন না, ঠান্ডা হয়ে গেলে জালেমরা (ফামলিং) অন্য কোথাও আক্রমণ করবে, আপনারা হুঁশিয়ার থাকবেন এবং প্রস্তুত থাকবেন। প্রসেশন চলবে কিন্তু মনে রাখবেন ডিসিপ্লিন সোলজার ছাড়া ডিসিপ্লিন ছাড়া কোনো জাতি জিততে পারে না।

আপনারা আমার ওপর বিশ্বাস নিশ্চয় রাখেন, জীবনে আমার রক্তের বিনিময়েও আপনাদের সঙ্গে বেইমানি করি নাই। প্রধানমন্ত্রিত্ব দিয়ে আমাকে নিতে পারে নাই।

২০২০ সালের ১০ মার্চ সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ভুলভাবে সন্নিবেশিত হয়েছে কি না তা যাচাই করতে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ৭ মার্চের ভাষণের সময় উপস্থিত থাকা ব্যক্তিসহ বিশিষ্টজনদের এ কমিটিতে রাখতে বলা হয়েছিল। এছাড়া সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে থাকা ভাষণের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সব অডিও-ভিডিও পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একই সঙ্গে সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সঠিক ভাষণ কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০২০ সালের ৫ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস এ রিট করেন। রাজবাড়ীর রায়নগর গ্রামের কাশেদ আলীর পক্ষে তিনি এ রিট করেন।

রিট আবেদনে সংবিধানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভুলটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের পূর্ণাঙ্গ ভাষণটি বাংলা ও ইংরেজিতে অন্তর্ভুক্তি চাওয়া হয়।

রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads