• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

কূটনীতিকদের চোখে পদ্মা সেতু ‘গেম চেঞ্জার’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ জুন ২০২২

আগামী ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন হতে চলেছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন সামনে রেখে ঢাকার কূটনীতিকরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পদ্মা সেতুকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও আস্থার প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছেন তারা।

একই সঙ্গে এই সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকার বিদেশি কূটনীতিকরা। ঢাকায় নিযুক্ত জাপান, ভারত, চীন সৌদি আরব ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত পদ্মা সেতুর বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের আস্থার প্রতীক। এই সেতুর ফলে বাংলাদেশে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। জাপানের রাষ্ট্রদূত আরো বলেছেন, এই সেতু শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা ভারত উপমহাদেশে আঞ্চলিক যোগাযোগে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

পদ্মা সেতুর প্রাক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জাইকা তবে শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পে জাইকা অংশীদার হতে পারেনি। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। তবে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে, এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসনীয়।

এদিকে, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান-বিবিআইএন কানেক্টিটিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আঞ্চলিক কানেক্টিভিটটিতে এই সেতু যে ভূমিকা রাখবে, এতে ভারত খুশি। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্ত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার আরো বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এই আনন্দময় মুহূর্তে আমি বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের প্রতিটি বন্ধুকে আমি স্বাগত জানাই।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, পদ্মা সেতু সাহসের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের জন্যই এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ সিদ্ধান্তে প্রয়োজন ছিল সীমাহীন সাহস ও সুদৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিজ্ঞা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে সেটা ছিল বলেই এই সেতু এখন বাস্তব। পদ্মা সেতু নিয়ে আমি যখন ভাবি, তখন শুধুমাত্র তিনটি শব্দ আমার মনে আসে, সেটা হলো-সাহস, সংকল্প ও সমৃদ্ধি।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে চীনা কোম্পানি জড়িত রয়েছে। সেজন্য আমি গর্ববোধ করি। রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা সেতু শুধু দুপারের ভূখণ্ডকেই যুক্ত করবে না, এটা মানুষের হূদয়কেও যুক্ত করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।

ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেছেন, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে এই পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই ধরনের মেগাপ্রকল্প বাংলাদেশে তৈরি হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এই সেতুর ফলে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা আরো আকৃষ্ট হবেন বলে আশা করেছেন তিনি।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে রাশিয়া। ঢাকার রাশিয়ার দূতাবাস এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এই উচ্চাভিলাষী মেগা-প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হয়েছে, যেটা প্রশংসনীয়। পদ্মা সেতু একটি সত্যিকারের গেম চেঞ্জার। কারণ, এটি আঞ্চলিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংযোগ, কর্মসংস্থান, পর্যটন এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ প্রসারিত করবে। নিঃসন্দেহে এটি জাতীয় জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে অবদান রাখবে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টির কারণে একটি যুগান্তকারী অর্জন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads