• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
জিভে জল আনে রবিকুণ্ডুর রাজভোগ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

জিভে জল আনে রবিকুণ্ডুর রাজভোগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঝিনাইদহের শৈলকুপা আর মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা সীমান্তে লাঙ্গলবাঁধ বাজার। বৃহত্তর যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার সর্ববৃহৎ এ বাজারটি ব্রিটিশ সময়ে স্থাপিত। রাজবাড়ীর পাংশা, ঝিনাইদহের শৈলকুপা আর মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা সীমান্তে গড়াই নদীর দক্ষিণ দিকে অবস্থিত এ বাজারটি এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর ব্যবসায়ীরাও এলাকাবাসী এবং খরিদ্দারদের মনোরঞ্জনে বেশ সিদ্ধহস্ত, বিশেষ করে আপ্যায়নে। ওই বাজারের বেশকিছু নামি-দামি খাবার ও মিষ্টান্নের মধ্যে এলাকায় এবং দূর-দূরান্তরের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় রবীন্দ্রনাথ কুণ্ডু ওরফে রবিকুণ্ডুর সেতু সুইটস-এর রাজভোগ। সম্পূর্ণ ছানার তৈরি এ মিষ্টির স্বাদ না পেলে এলাকাবাসী যেন তৃপ্ত হতে পারে না। বিয়ে, জন্মদিন বা অন্য যেকোনো অনুষ্ঠান যেন জমেই না রবির রাজভোগ বিনে।

এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারাধন কুণ্ডুসহ বেশ কজন খরিদ্দার জানালেন, নিজেদের প্রয়োজন, আত্মীয়-স্বজনকে আপ্যায়ন বা বাইরে বেড়াতে যাওয়ার সময় তারা নিয়ে যান রবিকুণ্ডুর রাজভোগ। আর যদি সেটি যথেষ্ট পরিমাণ না থাকে, অগত্যা কালোজাম বা পানতোয়া। পানতোয়াকে কেউ কেউ লেন্সা বলে চেনেন। তাদের মতে, এসব মিষ্টি গরুর খাঁটি দুধের তৈরি বিধায় এর স্বাদ ও ঘ্রাণ অক্ষুণ্ন থাকে, সবাই তৃপ্তি পান। তাদের মতে, রাজভোগ মানে রাজার ভোগ বা বিলাসের খাবার হলেও তাদের মতো সাধারণ মানুষ তেমন একটি মজাদার মিষ্টি খাচ্ছেন যা তাদের মনেক নাড়া দেয়, দেয় ঢেকুর তোলার মতো প্রশান্তি আর সুখ। এসব মিষ্টির দামও তুলনামূলক কম বলে জানালেন তারা।

দোকানের স্বত্বাধিকারি রবি কুণ্ডু জানালেন, তার প্রপিতামহ ব্রিটিশ সময়ে এ দোকানটি প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সময় থেকেই তাদের মিষ্টি রাজবাড়ীর পাংশা, ঝিনাইদহের শৈলকুপা, কুষ্টিয়ার খোকসা এবং মাগুরার শ্রীপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় প্রসিদ্ধি পায় যা এখনো বিদ্যমান। ইদানীং চিনি, ময়দা, সয়াবিন এবং মিষ্টি তৈরির জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেলেও সবশ্রেণির খরিদ্দারের দিকটা বিবেচনা করে তিনি দাম অপরির্তিত রেখে পাঁচ পুরুষের পুরনো প্রতিষ্ঠানটি কোনোপ্রকারে টিকিয়ে রেখেছেন। নিজের পরিবার আর কয়েকজন কর্মচারির ‘নুনভাত’ জুটলেই খুশি রবিন্দ্রনাথ কুণ্ডু।

ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান যিনি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতা জানালেন, মিষ্টির স্বাদ, মান আর রবিকুণ্ডুর অমায়িক ব্যবহারের ফলে এ প্রতিষ্ঠানটি সবশ্রেণির মানুষের কাছে আজও সমাদৃত। এলাকাবাসীর মতো তিনিও গর্বিত তার এলাকায় স্বনামখ্যাত এমন একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকান থাকার কারণে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads