• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
মেঘনা নদীতে ভাঙন, ঝুঁকিতে চরসোনারামপুরের অর্ধশত ঘরবাড়ি

ছবি: বাংলাদেশের খবর

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

মেঘনা নদীতে ভাঙন, ঝুঁকিতে চরসোনারামপুরের অর্ধশত ঘরবাড়ি

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ জুন ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর চরে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুইদিনে আশুগঞ্জ উপজেলার চরসোনারামপুর গ্রামের কয়েকটি বসতঘর, রান্নাঘর, টয়লেট ও টিউবওয়েল নদীগর্ভে বিলীন হয়েগেছে। অব্যাহত ভাঙনের কারণে নদীগর্ভে বিলীনের ঝুঁকিতে চরের একাংশের অন্তত অর্ধশত ঘর-বাড়ি।

চরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চরসোনারামপুরে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই চরে ভাঙন শুরু হয়। ফলে এখন ভাঙন আতংকে অনেক পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। কেউ কেউ ঘরের জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। পানি যদি আরও বাড়ে, তাহলে অনেক ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এছাড়া নদী ভাঙনের ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে চরে থাকা একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ার।

চরের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা আশা বিশ্বাস জানান, দুইদিন তাদের রান্নাঘর, খাবার ঘর, টিউবওয়েল ও টয়লেট নদীতে বিলীন হয়েগেছে। ঘরের কিছু জিনিসপত্র রক্ষা করতে পারলেও এখন যে ঘরটিতে আছেন, সেটিও নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে বলে জানান তিনি।

চরের বাসিন্দা প্রদীপ দাস জানান, ভাঙনের কারণে অনেক পরিবার চর ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে ভাড়া বাসায় উঠছেন। অনেকের অনেক জিনিসপত্র নদীতে ভেসে গেছে। সরকারের কাছে তিনি ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী সমাধান করে দেওয়ার দাবি জানান।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, নদীর মাঝখানে চরের ভাঙন স্বাভাবিক। এটি রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু করার নেই। তবে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হওয়ায় বৈদ্যুতিক টাওয়ারটি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads