মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তার মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর জনপদ। আনোয়ারার হাইলধরে মরহুমের গ্রামের বাড়িতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, খতমে কুরআন, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতসহ নানান কর্মসূচির আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ, বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। এবং চট্টগ্রাম-১২ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসন থেকে চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর গ্রামে তার জন্ম। বাবা আলহাজ নুরুজ্জামান চৌধুরী ছিলেন আইনজীবী, মা খোরশেদা বেগম। তার স্ত্রী, তিন ছেলে ও তিন মেয়ে আছে। ছেলেদের মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বর্তমান সরকারের ভূমিমন্ত্রী, আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং আসিফুজ্জামান চৌধুরী জিমি পারিবারিক ব্যবসাবাণিজ্য দেখাশোনা করেন।
আখতারুজ্জামান বাবু ১৯৭৭ সাল থেকে আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম (দক্ষিণ) এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি সংসদের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের একজন নেতৃস্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তা। তিনি ছিলেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও আরামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি ফেডারেশান অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এর সভাপতি, দুইবারের জন্য চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (সিসিসিআই)-এর নির্বাচিত সভাপতি, প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে গ্রুপ-৭৭ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহ-সভাপতি এবং ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।