• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

ধর্ম

সন্ত্রাসবাদ রোধে শরয়ি বিধান

  • প্রকাশিত ১৯ জুন ২০২১

মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ত্বোহা

 

বিশ্ববাসীর কাছে অতিপরিচিত শব্দ যুগল হলো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। সমাজনীতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি, পররাষ্ট্রনীতিসহ সবকিছুই সন্ত্রাসী মহলের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। হত্যা, গুম, ঘুষ, খুন, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, দাঙ্গা, মারামারি, রাহাজানি এসব বিষয় পত্রিকার নৈমিত্তিক ঘটনাপ্রবাহ। পুরো বিশ্ববাসী আজ কতিপয় সন্ত্রাসীমহলের কাছে খেলনার পাত্রে পরিণত হয়েছে। আমেরিকার হোয়াইট হাউস পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা। বিশ্ব ভূখণ্ড প্রযুক্তিতে রকেটের গতিতে এগুচ্ছে আর সন্ত্রাসীরা এগুচ্ছে উল্কার গতিতে। ফলে সর্বত্র অ্যাকাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে তথ্য ফাঁস ও ব্যাংক ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটছে। এমনকি বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার ফেসবুক আইডি পর্যন্ত হ্যাক হচ্ছে। সন্ত্রাসী মহল প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ব্যবহারে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। তারা চাইলে মুহূর্তেই পারমাণবিক বিস্ফোরণের দ্বারা বিশ্বকেও ধ্বংস করে দিতে পারেন। সন্ত্রাসী মহল ও মুসলিম নামধারী তাদের দালালচক্র সকল সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী হামলা ও আক্রমণের দোষ ও দায় চাপাচ্ছে ঘুমন্ত মুসলিম উম্মাহর ওপর।

ইসলাম কখনো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয় না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনই ইসলামের মূল লক্ষ্য। ইসলাম ও জঙ্গিবাদের দূরত্ব হলো আসমান ও জমিনের দূরত্ব স্বরূপ। মুসলিম উম্মাহর একমাত্র আদর্শ মহামানব হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মুসলিম হলো সে ব্যক্তি যার হাত ও মুখ থেকে অপর মুসলিম নিরাপদ থাকে।’ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, ‘সাবধান! যে ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিয়ে বসবাসকারী কোনো ব্যক্তির ওপর অত্যাচার করবে অথবা তাকে অপমান করবে অথবা তার ক্ষমতার বাইরের কোনো বোঝা চাপিয়ে দেবে কিংবা তার সম্মতি ব্যতিরেকে তার কাছ থেকে কোনো কিছু ছিনিয়ে নেবে, আমি তার বিরুদ্ধে কেয়ামতের দিন মামলার বাদী হব। (আবু দাউদ)। উল্লিখিত হাদিস থেকে স্পষ্ট যে, কোনো মুসলিমের জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে হত্যা বা জুলুম করার সুযোগ নেই। চাই সে মুসলিম হোক আর অমুসলিম হোক।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কায়দায় কাউকে হত্যা করা হারাম ও মহাপাপ। ইহপার ও পরপারে রয়েছে সুকঠিন শাস্তির বিধান। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে কেউ কোনো মুমিনকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করল, তার শাস্তি জাহান্নাম। তথায় সে থাকবে দীর্ঘকাল। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন ভয়ংকর শাস্তি।’ (নিসা : ৯৩)। আরেক আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, “আর যখন তারা ফিরে যায়, তখন চেষ্টা করে যেন সেখানে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে এবং শস্যক্ষেত্র ধ্বংস ও প্রাণনাশ করতে পারে। মূলত আল্লাহতায়ালা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এবং দাঙ্গাহাঙ্গামা পছন্দ করেন না।’ (বাকারা : ২০৫)।

ইসলামের শত্রুরা জিহাদকে সন্ত্রাস নামকরণ করার অপচেষ্টা করছে। জিহাদ আর সন্ত্রাস এক নয়। বিপরীত। জিহাদ হলো ন্যায়ের পক্ষে লড়াই আর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ হলো অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে আইনবহির্ভূত লড়াই। সন্ত্রাস মানেই সীমালঙ্ঘন, সন্ত্রাস জনপদকে অস্থির করে, কল্যাণকর ও স্বাভাবিক জীবনের গতি নষ্ট করে এবং সম্পদ, সম্মান, স্বাধীনতা ও মানুষ্যত্ববোধের ওপর আঘাত হানে। পক্ষান্তরে সকল কল্যাণময় কাজের প্রচেষ্টা, জনগণের জানমাল ও ইজ্জত বিনষ্টের চেষ্টা প্রতিহত করা এবং মানুষের স্বাধীন ও সম্মানজনক জীবনের নিশ্চয়তা প্রদান করাই হলো জিহাদ। পৃথিবীর আনাচে-কানাচে আজ সন্ত্রাসী মহল কর্তৃক জনসাধারণের ওপর বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত জনপদের ওপর আঘাত হানছে; কিন্তু মুসলমানরা এর প্রতিহত করার কর্মসূচি হাতে নিলেই মিডিয়া সন্ত্রাস মুসলমানদের জঙ্গি বলে প্রচার করে বেড়াচ্ছে।

ফিলিস্তিনের গাঁজায় ও পশ্চিম তীরে ইজরায়েলের কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা মাহে রমজানে এমনকি ইদের দিনেও ন্যক্কারজনক হামলা চালানো সত্ত্বেও বিশ্ব মিডিয়া চুপ ছিল; কিন্তু ফিলিস্তিনের হামাস কর্তৃক হামলার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করলেই সন্ত্রাসী মিডিয়া হামাসের কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসবাদ বলে প্রচার করে বেড়াতে কাল বিলম্ব করেনি।সন্ত্রাসীরা দিনে দিনে অপ্রতিরোধ্য হয়ে যাচ্ছে। কোনো ভাবেই সভ্য সমাজ তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। তবে ইসলামে রয়েছে সকল সমস্যার সঠিক ও কার্যকর সমাধান। একমাত্র ইসলামই পারে সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন করতে। তাই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে মুসলিম উম্মাহকে শরয়ি দৃষ্টিকোণ থেকে যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপ হাতে নিতে হবে। নচেৎ বিশ্ববাসীর বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহর আগামী দিনগুলো আরো অনেক বেশি ভয়াবহ হবে।

ওহির শিক্ষার প্রবর্তন : বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাই মূলত ভয়াবহ সন্ত্রাসের জন্য দায়ী। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধর্মীয় শিক্ষার আলোকে ঢেলে সাজাতে পারলে সন্ত্রাস সর্বত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠত না। আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর বছর পূর্বে আরব বিশ্ব যখন সন্ত্রাস ও অরাজকতায় পরিপূর্ণ। ঠিক সে সময়ই মহাবিশ্বের মহান নবী হযরত মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে ওহির জ্ঞান দ্বারা পরিশুদ্ধ করে তোলেন। ফলে অল্প দিনের ব্যবধানে পুরো আরব সমাজ সন্ত্রাস মুক্ত সমাজে পরিণত হয়। বর্তমান খ্রিস্টান পাদ্রি পোপ ফ্রান্সিস তার সভ্যতা ও সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে তার অনুসারীদের ধর্মীয় জ্ঞান ও ধর্মীয় অনুশাসনের নির্দেশ দিচ্ছেন। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, পড়ালেখার সাথে ধর্মীয়বোধ সংযুক্ত না হলে মানুষ পশুতে পরিণত হয়। অধ্যাপক স্টানলি হল বলেন, যদি তুমি তোমার সন্তানকে পড়ালেখা ও গণিত শিক্ষা দাও কিন্তু চতুর্থত ধর্ম শিক্ষা না দাও, তাহলে পঞ্চমত তুমি তাকে পাবে বদমাশ হিসেবে। অতএব শিক্ষার সাথে যখন ধর্মীয় অনুভূতি যুক্ত হবে, তখন কোনো লোক আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে না।

আদর্শ দিয়ে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করা : মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা আদর্শ দিয়ে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করেছেন। অন্যায় ও অসত্যের প্রতি চরম ঘৃণা, ন্যায় ও সত্যের জন্য আপসহীন, ত্যাগী, ধৈর্যশীল, আমানতদারি, বিশ্বস্ততা, ইনসাফ ইত্যাদি বিরল গুণের অপূর্ব সমাবেশ ঘটেছিল নবী মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটনের জন্য ‘হিলফুল ফুজুল’ নামক সংগঠন গড়ে তোলেন। তদানীন্তন সময়ে সন্ত্রাসের বাহক ছিল যুবসমাজ। তারা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুপম আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিত্যাগ করত নিজেদের সৎকাজের আলোয় উদ্ভাসিত করেন।

সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্তি কার্যকরণ : ইসলামী শরিয়াতে সন্ত্রাসের সকল পথ বন্ধের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের শায়েস্তা করার জন্য উপযুক্ত বিধান নিশ্চিত করেছেন। ইসলামী আইনে কোনো ব্যক্তির হত্যার পরিবর্তে হত্যার বিধান নাযিল করেছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে কেউ কোনো মুমিনকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করল, তার শাস্তি জাহান্নাম। তথায় সে থাকবে দীর্ঘকাল। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন ভয়ংকর শাস্তি। (নিসা : ৯৩)।

ইসলাম ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের সুবিচার প্রাপ্তি এবং আইনের দৃষ্টিতে সমতার বিধান আরোপ করেছে। আল্লাহ বলেন, ‘কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ যেন তোমাদের সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে। সুবিচার করো, এটা তাকওয়ার নিকটবর্তী।’ (আল-কোরআন)। হাদিসে উল্লেখ আছে, পানি সেচ দেওয়া নিয়ে এক মুসলিম ও বিধর্মীর সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হলে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ঐ বিধর্মীর পক্ষে বিচারের রায় দেন। ফলে মুসলিম ব্যক্তিটি নাখোশ হয়ে হজরত ওমর (রা.)-এর নিকট আপিল করলে হজরত ওমর অপরাধী মুসলিম ব্যক্তির গর্দান বিচ্ছিন্ন করে দেন। সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল মতের ঊর্ধ্বে উঠে সঠিক বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সঠিক বিচার ও শাস্তি কার্যকর না হলে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা : অন্যায় দেখলেই প্রতিরোধ করতে হবে। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ কোনো অন্যায় কাজ দেখলে সে যেন হাত তথা শক্তি দ্বারা বাধা দেয়। আর সে যদি এ কাজে সক্ষম না হয় তাহলে যেন মুখ তথা বক্তব্যের মাধ্যমে প্রতিহত করে। আর তাতেও সে সক্ষম না হলে, যেন অন্তরে তা প্রতিহত করার পরিকল্পনা করে। আর এটা দুর্বল ইমানের পরিচয়।’ অন্যায়ের প্রতিরোধ এককভাবে করলে ফলপ্রসূ হবে না। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরব সমাজ থেকে সন্ত্রাস মূলোৎপাটনে সর্বপ্রথম সকল যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তাই সামাজিক সন্ত্রাস দমনে সমাজের সকল মুসলিমকে এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের দমনে সকল মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর হওয়া : জ্ঞান-বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করা মুসলিম জাতি আজ সর্বনিম্নে অবস্থান করছে। মহাগ্রন্থ আল কোরআনে দুনিয়ার সকল জ্ঞানের বিবরণ রয়েছে। এখানে বিধৃত হয়েছে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস, আলোচিত হয়েছে জ্যোতির্মণ্ডল গঠনের মৌলিক প্রক্রিয়া, সৌরমণ্ডল, তারকারাজি, আন্ততারকা পদার্থ, জ্যোতিষ্কমণ্ডলের প্রকৃতি, মহাশূন্যে চন্দ্র ও সূর্যের গতিবেগ, মহাশূন্যের ক্রমবিকাশ, পানিচক্র ও সমুদ্র, বায়ুমণ্ডল, প্রাণী ও উদ্ভিদজগৎ, মানুষের বংশ বিস্তারসহ সকল বর্ণনা। মুসলমানগণ আল কোরআন অধ্যয়ন থেকে দূরে সরার কারণে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়েছে। মুসলমানগণ জ্ঞান-বিজ্ঞানে পশ্চিমাদের গুরু মানতে শুরু করেছে; কিন্তু ইতিহাসের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ও মূল্যবান আবিষ্কারগুলোর প্রায় সবকিছুই মুসলমানদের অর্জন। বর্তমানে বিশ্ব সন্ত্রাসী মহলকে ঘায়েল করার জন্য মুসলমানদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর হওয়ার বিকল্প নেই। কেননা বর্তমানে অস্ত্রের যুদ্ধের চাইতেও জ্ঞানের স্নায়ুযুদ্ধ বেশি প্রতিষ্ঠিত।

মুসলমানদের প্রযুক্তি মাধ্যম বলিষ্ঠ করা : ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ফলেই স্বল্প সময়ে ইসলাম বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের প্রচারের লক্ষ্যে তার সাহাবাদের বিশ্বভুবনে ছড়িয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি যে কোনো তথ্য প্রচারের জন্য আরব সমাজে প্রচলিত নীতি ব্যবহার করতেন। বর্তমান সময়ে যেকোনো তথ্য ঘরে বসেই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বময় প্রচার করা যায়। কাফেররা প্রযুক্তিতে আজ সর্বোচ্চ শিখরে। তারা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে মুসলমানদের সন্ত্রাসী বানিয়ে দিচ্ছে। সন্ত্রাসী মিডিয়াগুলো রাতকে দিন আর দিনকে রাত বলে প্রচার করে বেড়াচ্ছে। তাদের প্রচার মাধ্যম এতটাই বলিষ্ঠ যে, তাদের মিথ্যাগুলোকে মানুষ সত্য হিসেবেই ধরে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলায় মুসলমানদের প্রযুক্তির জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির যুদ্ধ চলছে। প্রযুক্তিতে যে যত বেশি উন্নত, ক্ষমতায়ও তারা তত বেশি সাফল্য।

বর্তমান বিশ্বে সন্ত্রাস একটি মারাত্মক সমস্যা, যা সংক্রামক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। ফলে এর প্রতি ঘৃণা, ধিক্কার ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া চলছে বিশ্বব্যাপী। কিন্তু এ প্রতিক্রিয়া সন্ত্রাস দমনে কোনোরূপ কার্যকর ফল দিতে পারেনি। তাই বৈশ্বিক সন্ত্রাস দমনে ইসলামী শরয়ি বিধানের অনুসরণের বিকল্প নেই।

 

 

লেখক: সংগঠক ও প্রাবন্ধিক।

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

tohaarafat1998@gmail.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads