• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
তাসাউফ : হৃদয় আলোকিত করার মাধ্যম

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

তাসাউফ : হৃদয় আলোকিত করার মাধ্যম

  • প্রকাশিত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

তাসাউফ আরবী শব্দ। আভিধানিক অর্থ সুফিবাদ, আধ্যাত্মিকতা আধ্যাত্মবাদ। মুসলিম দর্শনে তাসাউফ সুফিবাদ নামে খ্যাত। বিশেষজ্ঞদের মতে সুফি শব্দটি সুফ শব্দ থেকে উৎপন্ন যার অর্থ পশম। পশমি বস্ত্র সরলতা ও আড়ম্বরতাহীনতার প্রতীক। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সাহাবারা বিলাসিতার পরিবর্তে সাদাসিধা পোশাক পরিধান করতেন। তাই সাদাসিধা জীপনযাপনকারী ব্যক্তিরা মুসলিম দর্শনে সুফি নামে অভিহিত। ইসলাম ধর্মের বিশিষ্ট বুজুর্গানে দীনবৃন্দ বিভিন্নভাবে তাসাউফের (সুফিতত্ত্বের) সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। সুলতানুল আরেফীন শায়খ সেহাবউদ্দীন সোহরাওয়ার্দী (রহ.) তাঁর প্রণীত আওয়ারিফুল মাআরিফ (গোপন রহস্যের সুরভি) গ্রন্থে উল্লেখ করেন, তাসাউফ সম্পর্কে সহস্রাধিক সংজ্ঞা বিদ্যমান। তবে এসব সংজ্ঞার কয়েকটির দিকে দ্রুত দৃষ্টিপাত করলে দেখা যাবে যে এগুলো মূলত শব্দ ও তাকিদের ক্ষেত্রেই ভিন্নতা বহন করছে। এ প্রবন্ধের প্রয়োজনে  তিনটি সংজ্ঞা এখানে পেশ করেছি।

শায়খ আবু বকর শিবলী (রহ.) তাসাউফের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এর প্রারম্ভে রয়েছে খোদাতায়ালা ভেদের রহস্য (মারেফাত) এবং শেষে রয়েছে তাঁর একত্ব (তাওহিদ)।’ হজরত জুনাইদ বাগদাদি (রহ.) বলেন, ‘নিজ সত্তাতে মৃত কিন্তু খোদাতায়ালার মাঝে জীবিত’। শায়খুল ইসলাম জাকারিয়া আনসারি বলেন, ‘সুফিবাদ শিক্ষা দেয় নিজ সত্তার পরিশুদ্ধি, নৈতিকতার উন্নতি এবং নিজ অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক জীবনকে গড়ে তোলা, যাতে করে চিরস্থায়ী আশীর্বাদ লাভ করা যায়। এর সারবস্তু হলো আত্মিক পরিশুদ্ধি এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো চিরস্থায়ী কল্যাণ ও আশীর্বাদ লাভ।’ এই তিনটি সংজ্ঞা-যার প্রথমটি আকল তথা বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্পৃক্ত, দ্বিতীয়টি হাল তথা ভাব বা আধ্যাত্মিক অবস্থার সাথে সম্পৃক্ত এবং তৃতীয়টি আখ্লাক তথা নৈতিকতার সাথে সম্পৃক্ত-তাতে সুফি অন্বেষণের মৌলিক দিকগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অতএব, প্রথম সংজ্ঞাটিতে বাস্তবতার চূড়ান্ত প্রকৃতি রূপায়িত হয়েছে এ মর্মে যে একমাত্র আল্লাহতায়ালার দয়ায় ও ইচ্ছায়ই সকল বস্তু ও জীব অস্তিত্বশীল। দ্বিতীয়টিতে নফসানিয়াত তথা কুপ্রকৃত্তি বা একগুঁয়ে সত্তাকে পরিত্যাগের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দম্ভ, কপটতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা হলো আল্লাহতায়ালা ও মানুষের মাঝে সবচেয়ে বড় পর্দা। হজরত রাবেয়া আল আদাউইয়্যা (রহ.) এই হাল বা ভাবোম্মত্ত অবস্থা সম্পর্কে বলেন, ‘আমি যদি আমার নিজ সত্তার ব্যাপারে মাগফেরাত কামনা করি, তাহলে আমাকে আবার ক্ষমা (মাগফেরাত) চাইতে হবে।’ তিনি ব্যক্তি সত্তার (নফস্) স্বীকৃতিকেই সবচেয়ে বড় পাপ বিবেচনা করতেন। তৃতীয় সংজ্ঞাটির বিবেচ্য বিষয় হলো মানবসত্তাকে সর্বোত্তম নৈতিকতা ও মূল্যবোধ দ্বারা বিভূষিত করা। তাযকিয়া তথা আত্মিক পরিশুদ্ধি ও তাহলিয়্যা তথা বিভূষণের দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্ভব হয়ে ওঠে। অর্থাৎ, সকল দূষণীয় ক্রটি-বিচ্যুতি থেকে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে সকল প্রশংসনীয় গুণাবলি দ্বারা বিভূষিত হওয়া।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জমানায় কিছু সাহাবি নিজেদেরকে দুনিয়াবী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে সরিয়ে কৃচ্ছ্রতাপূর্ণ জীবনযাপন করতে থাকেন। তাঁরা ‘আসহাবে সুফফা’ নামে সমধিক প্রসিদ্ধ। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদের পাশে একটি ছোট বারান্দায় তাঁরা খোদার ধ্যানে সর্বদা মগ্ন থাকতেন। সাফফ, যার অর্থ সারি, লাইন। নামাজে প্রথম কাতার বা সারিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, কেননা তা আধ্যাত্মিকতায় প্রথম সারিকে প্রতীকায়িত করে। শব্দের উৎপত্তি ও ইতিহাস সংক্রান্ত বিজ্ঞান অনুযায়ী যে শব্দটি উৎস হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে তা হলো ‘সুফ’। তথাপি অন্যান্য শব্দগুলোকেও সাধারণত এতদসংক্রান্ত আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে; এর একমাত্র হলো এই যে সুফি তরিকার বহুবিধ বৈশিষ্ট্যের কোনো না কোনো একটিকে এগুলো প্রতিফলন করে।

তাসাউফের উৎসসমূহ : তাসাউফ ইসলাম ধর্মবহির্ভূত উৎস থেকে আবির্ভূত হয়েছে- এটা দেখাতে পূর্ববর্তী প্রাচ্যদেশ-সম্পর্কিত গবেষণাগুলো যথেষ্ট কষ্ট স্বীকার করেছিল। এসব গবেষণা অনুযায়ী, ’ইসলাম ধর্ম আরবের শুকনো পতিত জমি থেকে এসেছিল, আর তাই তাতে কখনোই এতো গভীর ও অনুপ্রেরণাদায়ক জ্ঞানের বীজ অন্তর্নিহিত থাকতে পারে না; সুফিদের আশীর্বাদপুষ্ট অন্তর্দৃষ্টির শেকড় কোনোক্রমেই মরুভূমিতে প্রোথিত হতে পারে না’। এই একপেশে নীতির কারণে অনেক পশ্চিমা গবেষক  কোরআনে ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে নিহিত অন্তর্দৃষ্টি ও দিব্যজ্ঞান সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারেন নি। তবে সুফিবাদ সংক্রান্ত কোরআনি উৎসগুলো সন্দেহাতীভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সুফিবৃন্দ তাঁদের অবস্থানের পক্ষে আল কোরআনের যে দলিলাদি পেশ করেন, তার মধ্যে সুরা ওয়াকিয়াহর আয়াতে কারিমাগুলো প্রণিধানযোগ্য। এসব আয়াতে আল্লাহতায়ালা মানুষদেরকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। ১. আসহাব আল মাশআমাহ্ তথা বাম হাতের দিকের মানুষ; ২. আসহাব আল্ মায়মানাহ্ তথা ডান হাতের দিকের মানুষ; ৩. মুকাররাবুন তথা সেই সব বুজুর্গ যারা আল্লাহর নিকটবর্তী; এঁদেরকে ‘অগ্রবর্তী’ও বলা হয়েছে। প্রথম দলটি ঈমান গ্রহণ করে নি। দ্বিতীয় দলের অন্তর্ভুক্ত হলেন নেককার মুসলমানবৃন্দ যারা আল্লাহর প্রতি তাঁদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট। তাঁদের সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে এক দল এবং পরবর্তীদের মধ্য থেকে এক দল।’ (সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত-৩৯, ৪০)। আর সর্বোপরি রয়েছেন মুকাররাবুন। তাঁরা হলেন মুমিন বান্দাদের মধ্যে এমনি একটি বিশেষ দল, যাঁরা আধ্যাত্মিক উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে উপনীত হয়েছেন। তাঁদেরকে বেশিরভাগ সময় খাওয়াস্ আল্ খাসওয়াস্ তথা মনোনীতদের মাঝে মনোনীত বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। এঁদের ঈমানের প্রাচুর্যই এঁদেরকে আল্লাহতায়ালার নৈকট্যের মকাম বা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। সুরা ওয়াকিয়াহতে এই বুজুর্গদের সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে: ‘পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে এক দল এবং পরবর্তীদের মধ্য থেকে এক দল।’ (সুরা ওয়াকিয়াহ, আয়াত-৩৯, ৪০) আর সর্বোপরি রয়েছেন মুকাররাবুন। তাঁরা হলেন মুমিন বান্দাদের মধ্যে এমনি একটি বিশেষ দল, যাঁরা আধ্যাত্মিক উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে উপনীত হয়েছেন। তাঁদেরকে বেশিরভাগ সময় খাওয়াস্ আল্ খাসওয়াস্ তথা মনোনীতদের মাঝে মনোনীত বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। এঁদের ঈমানের প্রাচুর্যই এঁদেরকে আল্লাহতায়ালার নৈকট্যের মকাম বা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। সুরা ওয়াকিয়াহতে এই বুজুর্গদের সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে : ‘পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে একদল; এবং পরবর্তীদের মধ্য থেকে স্বল্প সংখ্যক।’ (১৩-১৪ আয়াত)। এই উচ্চ মার্গের ঈমান ও আধ্যাত্মিক উন্নতিই সুফিবৃন্দের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে। বিশ্বনবী (দ)-এর বর্ণিত একটি হাদিসে কুদসিতেও আল্লাহতায়ালার নৈকট্যের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। আল্লাহতায়ালা এরশাদ ফরমান, আমার বান্দা নফল (তরিকার রেয়াযত) এবাদত-বন্দেগি দ্বারা আমার এতো নিকটবর্তী হন যে আমি তাঁকে ভালবাসি; এতো ভালবাসি যে আমি তাঁর কুদরতি কান হই যা দ্বারা তিনি শোনেন; তাঁর কুদরতি চোখ হই যা দ্বারা তিনি দেখেন; আমি তাঁর কুদরতি হাত হই যা দ্বারা তিনি কাজকর্ম করেন এবং তাঁর কুদরতি পা হই যা দ্বারা তিনি চলাফেরা করেন।’ (বোখারি) আল্লাহতায়ালার নৈকট্য ও তাঁর ভালবাসার সাথে যখন তাঁর সৌন্দর্যের বিষয়টি যুক্ত হয়, যেমনিভাবে হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা নিজে সুন্দর এবং সুন্দরকেও ভালবাসেন।’ (মুসলিম) তখন সুফি-দরবেশ রাবেয়া আল্ আদাউইয়্যার (রহ.) কথার মর্মও বোধগম্য হয়; তিনি বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ্! আমি দোজখের ভয়ে আপনার এবাদত করে থাকলে আপনি আমায় তাতে পুড়িয়ে খাক করে দিন; আর যদি বেহেশতের আশায় এবাদত করে থাকি, তবে তা থেকে আমায় বঞ্চিত করে দিন; কিন্তু আপনার খাতিরে যদি আমি আপনার বন্দেগি করে থাকি, তাহলে আপনার চিরস্থায়ী সৌন্দর্য দর্শন থেকে আমায় বঞ্চিত করবেন না’!

এই আধ্যাত্মিক আকাঙ্ক্ষার আলোকেই আমরা সুফিবৃন্দের বিভিন্ন ভক্তিমূলক কর্মকাণ্ডের ঐকান্তিকতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবো। পূর্ববর্তী যুগের সুফিবৃন্দের মধ্যে উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন হযরত হাসান আল্ বসরী (রহ. বেসাল ৭২৪ খ্রিষ্টাব্দ), হজরত ইবরামীম ইবনে আদহাম (রহ:-বেসাল ৭৭৭ খ্রিষ্টাব্দ), হজরত রাবেয়া আল্ আদাউইয়্যা (রহ.-বেসাল ৮০১ খৃ:), হজরত ফুযাইল ইবনে আয়ায (রহ:- বেসাল ৮০৩ খ্রিষ্টাব্দ), হজরত মারূফ কারখী (রহ. বেসাল ৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ), হজরত আবু আব্দুল্লাহ্ আল্ মুহাসিবী (রহ: বেসাল ৮৫৭ খৃষ্টাব্দ), হযরত সিররী সাকাতি (রহ. বেসাল ৮৬৭), হজরত বায়েজিদ বোস্তামী (রহ: বেসাল ৮৭৪ খৃষ্টাব্দ) এবং হযরত আবুল কাসেম জুনাইদ আল্ বাগদাদী (রহ. বেসাল ৯১০ খৃষ্টাব্দ)

পীর ও মুরীদের সম্পর্কের মাঝে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল। প্রথমটি হলো ইলবাসুল খিরকা তথা জোড়াতালি দেওয়া একটি জামা পরিধান যা মুরীদের তরীকায় বা তাসাউফে দাখিল হবার ইঙ্গিতবহ ছিল। দ্বিতীয় দিকটি তালকিনুয্ জিকর নামে জ্ঞাত, যার অর্থ হলো মুরীদ কী ধরনের জিকর পালন করবে সে সম্পর্কে পীরের নির্দেশ। তৃতীয় দিকটিকে সোহবত বলে, যা পীরের সান্নিধ্যের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য জ্ঞাপন করে। এসব দিক প্রাথমিক জমানা থেকেই সুফি তরিকাহর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে চলে আসছে। বস্তুত, এসব আচারের অধিকাংশই রাসুলে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের জিকরসহ সুফিবৃন্দের শিক্ষাসমূহ পীরের কাছ থেকে মুরীদের কাছে ধারাবাহিক পরম্পরায় হস্তান্তরিত হয়ে আসছে; এটিকে সিলসিলা বলে। এসব সিলসিলার মাধ্যমে এবং এজাযত প্রথার দ্বারা সুফিবৃন্দের শিক্ষাসমূহ আমাদের আধ্যাত্মিকতার ঐতিহ্যগত অংশ হিসেবে সংরক্ষিত হয়েছে। এজাযত হলো পীরের শিক্ষাসমূহ (তরীকা)-কে আরো প্রসারিত করার জন্যে মুরিদ (খলিফা)-কে পীরের দেয়া অধিকার। সুফিবাদ তিন ধারাবিশিষ্ট প্রক্রিয়া। ১। শরিয়ত-এটির বিধান সম্পর্কে জানা এবং তা কঠোরভাবে মেনে চলা। ২। তরিকত-মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাসাউফের বরেণ্য ও বিজ্ঞ বুজুর্গবৃন্দের নির্দেশিত আধ্যাত্মিক প্রথার : (যেমন জিকর) অনুশীলন বা চর্চা। ৩। হাকিকত- সেই আধ্যাত্মিক অন্তর্দৃষ্টি বা দিব্যদৃষ্টি লাভ যার দর্শন হলো সকল বস্তুই আল্লাহতায়ালা থেকে আগত এবং তাঁরই মালিকানাধীন। পরিশেষে আওলিয়াদের জীবন থেকে সহজেই প্রতীয়মান হয় যে, তাসাউফ সত্য। সুতরাং আমাদের কর্তব্য তাসাউফকে ইনকার না করা এবং জীবনকে ইলমে মারিফাত তথা কুসংস্কার ও বিদআতমুক্ত তাসাউফের আলোতে আলোকিত করার চেষ্টা করা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন। আমিন!

লেখক : ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

এম এ কামিল হাদিস ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা

drmazed96@gmail.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads