• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ইসলামে সামাজিক আচরণবিধি

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

ইসলামে সামাজিক আচরণবিধি

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৩ জুলাই ২০২২

মুহাম্মদ মিযান বিন রমজান

ইসলাম শান্তি ও সহানুভূতির ধর্ম। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন এবং সহযোগিতার মনোভাব ইসলামের অন্যতম আদর্শিক বিষয়। এ জীবন শুধু নিজের ভোগ-বিলাসিতার জন্য নয়; বরং গোটা সৃষ্টির উপকার সাধন এবং কল্যাণকামিতা প্রত্যেক মানুষের অন্তরে জাগ্রত থাকবে, এটাই ইসলামের বিধান। মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়েই তাকে বাস করতে হয়। সমাজে একে অপরের সহযোগী হয়ে জীবনের পথ চলতে হয়। তাই সামাজিক জীবনে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলাম দীনের মৌলিক ইবাদতের পাশাপাশি সমাজের মানুষের কল্যাণে কাজ করাকেও ইবাদত হিসাবে ঘোষণা করেছে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ভালো কাজ এটা নয় যে, তোমরা তোমাদের চেহারা পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ফিরাবে; বরং ভালো কাজ হলো যে ঈমান আনে আল্লাহ, শেষ দিবস, ফেরেশতাগণ, কিতাব ও নবীগণের প্রতি এবং যে সম্পদ প্রদান করে তার প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও নিকটাত্মীয়গণকে, ইয়াতিম, অসহায়, মুসাফির ও প্রার্থনাকারীকে এবং বন্দিমুক্তিতে এবং যে সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং যারা অঙ্গীকার করে তা পূর্ণ করে, যারা ধৈর্যধারণ করে কষ্ট ও দুর্দশায় ও যুদ্ধের সময়ে। তারাই সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকী।’ (সুরা বাকারা, আয়াত-১৭৭) উক্ত আয়াতে আল্লাহতায়ালা মুত্তাকীদের গুণাবলিতে ইসলামের মৌলিক ইবাদতের পাশাপাশি সমাজের অসহায় নিঃস্বদের সাহায্য-সহায়তার মতো সামাজিক কার্যক্রমের কথাও উল্লেখ করেছেন। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ব্যক্তিগত ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালনও ইবাদত হিসাবে গণ্য। নিচে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সামাজিক বিধান উল্লেখ করছি।

আত্মীয়তার বন্ধন ও সাহায্য-সহায়তা : আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা ঈমানের একটি বাহ্যিক পরিচয় বহন করে এবং এর দ্বারা রিজিক ও বয়সে বরকত আসে। উপরন্তু তাদের ভালোবাসাও পাওয়া যায়।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি রিজিকের প্রশস্ততা ও আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ (বুখারি, হাদিস নং-৫৫৫৯) নিজ আত্মীয়স্বজনকে সাহায্য-সহায়তায় উৎসাহ দিয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সবচেয়ে উত্তম সদকাহ হচ্ছে সেটি যা এমন আত্মীয়স্বজনের জন্য করা হয় যারা তোমার থেকে বিমুখ হয়ে আছে।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৩/৪০২) অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মিসকিনের ওপর সদকাহ করলে সেটি সদকাহ হিসেবে বিবেচিত হবে। পক্ষান্তরে যদি আত্মীয়স্বজনের ওপর সদকাহ করা হয় তবে তা হবে, আত্মীয়স্বজনের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ও সদকাহ।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৪/১৮)

প্রতিবেশীর সাথে সদাচার ও খোঁজ : সামাজিক জীবনে প্রতিবেশীর গুরুত্ব ও ভূমিকা অনেক বেশি। তাই ইসলামে প্রতিবেশীদের প্রতি কর্তব্য পালনে এবং তাদের খোঁজ-খবর রাখতে সর্বদা উৎসাহিত করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা ইবাদত করো আল্লাহর, তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরিক করো না। আর সদ্ব্যবহার করো মাতা-পিতার সাথে, নিকট আত্মীয়ের সাথে, ইয়াতিম, মিসকিন, নিকট আত্মীয়-প্রতিবেশী, অনাত্মীয়- প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীদের সাথে। নিশ্চয় আল্লাহ পছন্দ করেন না তাদেরকে যারা দাম্ভিক, অহঙ্কারী।’ (সুরা নিসা, আয়াত-৩৬)

প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ করা সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম! সে মুমিন নয়। জিজ্ঞেস করা হলো হে আল্লাহর রাসুল! কে সেই ব্যক্তি? তিনি বললেন, যার অন্যায় থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না।’ (সহিহ বুখারি, আয়াত-৪৯৮৬) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তৃপ্তিসহকারে পেটপুরে খায়, অথচ তার পাশেই তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে সে ঈমানদার নয়।’ (সুনানে বায়হাকি, হাদিস নং-৪৯৯১) অন্যত্র নবীজি বলেন; হে আবু যর, যখন তরকারী রান্না করবে তখন তাতে বেশি পরিমাণে পানি তথা ঝোল দিও এবং এর দ্বারা তোমার পড়শীর খোঁজখবর নিও। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং-২৬২৫)

অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো : কোনো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদগ্রস্ত হলে তাদের পাশে দাঁড়ানো, বিপদ মুক্তির জন্য সাহায্য করা ইসলামের শিক্ষা। তাদের দুর্দিনে আর্থিক সহায়তা, খাবার-দাবার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং চিকিৎসাসেবায় এগিয়ে আসা ইমানের দাবি। আল্লাহতায়ালা মুমিনদের একটি দেহের মতো বানিয়েছেন। দেহের কোনো অংশ আক্রান্ত হওয়া মানে পুরো দেহ আক্রান্ত হওয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের মতো; যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার পুরো দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’ (মুসলিম, হাদিস-৬৪৮০) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দয়াশীলদের ওপর করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস নং-৪৯৪১)

সমাজের ইয়াতিম, দুঃস্থ ও বিধবাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা বড় ইবাদত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিধবা ও মিসকিনদের সমস্যা সমাধানের জন্য ছুটোছুটি করে সে যেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে লিপ্ত। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একথাও বলেছেন, সে যেন ওই ব্যক্তির ন্যায় যে সারা রাত সালাত আদায় করে এবং সারা বছরই ছিয়াম পালন করে। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং-৫৩৫৩; সহিহ মুসলিম, হাদিস নং-২৯৮২)

রোগীর খোঁজখবর নেওয়া : সমাজের কেউ অসুস্থ হলে তার খোঁজখবর নেওয়া, দেখভাল করা, হালপুরসী করা,উত্তম চিকিৎসা ও নিরাময়ের ব্যবস্থা করা একজন মুসলিমের অন্যতম দায়িত্ব। এটি একজন মুসলমানের ওপর অপর মুসলিমের হক। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের পাঁচটি হক রয়েছে। সালামের জবাব দেওয়া, রোগীর সেবা করা, জানাজার সাথে চলা, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচির উত্তর দেওয়া। (বুখারি, হাদিস নং-১২৪০; মুসলিম, হাদিস নং-২১৬২)

ইসলামের দৃষ্টিতে এটি একটি মহতি আমল। ইসলাম একে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেছে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যখন কোনো রোগীর ইয়াদত করতে যায় তখন সে আল্লাহর রহমতে ডুব দেয়। আর যখন সে রোগীর কাছে বসে আল্লাহর রহমত তাকে ঘিরে নেয়। হজরত আনাস (রা.) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সুস্থ ব্যক্তি অসুস্থ ব্যক্তির খবর নিলে এই ফজিলত। কিন্তু অসুস্থ ব্যক্তির কী সওয়াব? নবীজি বললেন, এর মাধ্যমে তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-১২৭৮২) অন্যত্র নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- ‘যখন কোনো মুসলিম কোনো ভাইয়ের ইয়াদত করে তখন আসমানে এক ঘোষক ঘোষণা করে, তুমি ধন্য। তোমার পথচলা মসৃণ হোক। তুমি জান্নাতে ঠিকানা বানিয়ে নিয়েছো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং- ১৪৪৩)

ঋণ আদান-প্রদান : জীবনে চলতে গিয়ে অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তিতো বটেই, এমনকি সচ্ছল ব্যক্তিরও কখনো কখনো ঋণ গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। এ অবস্থায় যার নিকট ঋণ প্রদানের মতো অর্থ থাকবে তার দায়িত্ব হলো ‘করযে হাসানা’ বা সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে তার মুসলিম ভাইকে সহায়তা করা। আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে এর অনেক তাৎপর্য রয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি কোনো মুসলিম ব্যক্তি তার অপর মুসলিম ভাইকে (টাকা-পয়সা) দুইবার ঋণ প্রদান করে তবে তার আমলনামায় এ অর্থ একবার সাদকা করে দেওয়ার সওয়াব লিখা হয়। (সহিহুল জামে, হাদিস নং-৫৭৬৯)

ঋণদাতা যখন মানুষের উপকার্থে ঋণ প্রদান করে, তখন ঋণ গ্রহীতার দীনি ও নৈতিক দায়িত্ব হবে তা যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া। না করে যদি টাল-বাহানা শুরু করে, মিথ্যা ওজর পেশ করে বিলম্ব করে, তাহলেই পরস্পরে মিল-মুহব্বত ও ভ্রাতৃত্ব নষ্ট হয়, শত্রুতা বৃদ্ধি পায় এবং একে অপরের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়। কাহারো সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা সমাজের কোনো লোক যখন কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হয় তখন সকলের কর্তব্য হলো তাকে এ বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব দুঃখ-কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ কিয়ামতে তার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো সংকটাপন্ন ব্যক্তির সংকট নিরসন করবে, আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় সংকট নিরসন করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে, আল্লাহতায়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত বান্দার সাহায্য করে থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা নিজ ভাইয়ের সাহায্যে লিপ্ত থাকে’ (তিরমিযি, হাদিস নং-১৯৩০; আবু দাঊদ, হাদিস নং-৪৯৪৬) অপর এক হাদিসে নবীজি বলেন, ‘প্রত্যেক মুসলমানের ওপর সাদকা করা ওয়াজিব। একজন প্রশ্ন করলেন, যদি কারো সে সামর্থ্য না থাকে, তবে সে কি করবে? নবীজি বলেন, সে বিপদে পতিত কোনো ব্যক্তিকে সাহায্য করবে। এটাই তার জন্য সাদকা। (আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং-২২৫; মিশকাত, হাদিস নং-১৮৯)

সালামের প্রচার-প্রসার : সালাম অর্থ শান্তি। ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ মানে হচ্ছে আপনার ওপর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক। প্রত্যেক জাতির মধ্যেই পরস্পরে অভিবাদন জানানো রীতি রয়েছে। ইসলাম মুসলমানদেরকে পারস্পরিক অভিবাদনের জন্য সালামের বিধান দিয়েছে। এটা কোনো গতানুগতিক অভিবাদন নয় বরং একটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রার্থনা, যার মাধ্যমে একজন মুসলিম আরেকজন মুসলিমের কল্যাণ কামনা করে। আর এ সালামের প্রচার প্রসারের মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়।
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেওয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে’। (সুরা নিসা, আয়াত-৮৬)

কোনো মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে কথা বলার আগে সালাম দেওয়া নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ। আর এর উত্তর দেওয়া অবশ্যকরণীয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের প্রচার প্রসার ঘটাও।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলো, ‘সর্বোত্তম আমল কী? তিনি বললেন, “ক্ষুধার্তকে অন্নদান করো এবং পরিচিত-অপরিচিত নির্বিশেষে সকলকে ব্যাপকভাবে সালাম পেশ করো।’ (বুখারি, হাদিস নং-৬২৩৬, মুসলিম, হাদিস নং-৩৯)

যদি আমরা ইসলামের উপরিউক্ত সামাজিক বিধানগুলো মেনে চলি তাহলে আমরা বিনির্মাণ করতে পারবো একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সুন্দর সমাজ এবং আখেরাতে অশেষ পুণ্যে লাভেও সক্ষম হবো। মহান আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে তাওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক: কবি, কলামিস্ট ও অনুবাদক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads