• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

নতুন কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল ২০২২

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র মহাকাশচারীরা সম্প্রতি মহাবিশ্বে একটি দ্রুত বর্ধনশীল কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ পেয়েছে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একে মহাবিশ্ব সম্পর্কে প্রাথমিক যে জ্ঞান রয়েছে, তার একটি অপ্রকাশিত সূত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

হাবল স্পেস টেলিস্কোপ থেকে ডেটা ব্যবহার করে, মহাকাশচারীরা এই ‘দানব’ দেহ অর্থাৎ কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কার করেছে; যা বিগ ব্যাংয়ের প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন বছর পরে গঠিত হয়েছিল।

নাসা জানিয়েছে, এই দানবটির ডাকনাম দেয়া হয়েছে জিএনজেট৭কিউ। যেটা রাতের আকাশে ধরা পড়া অঞ্চলগুলোর একটিতে অর্থাৎ গ্রেট অবজারভেটরিজ অরিজিনস ডিপ সার্ভে-নর্থ (গুডস-নর্থ) ক্ষেত্রে লুকিয়ে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাসার মহাকাশচারী একটি দল প্রমাণ পেয়েছে, জিএনজেট৭কিউ একটি নবগঠিত কৃষ্ণগহ্বর। হাবল এতে অতিবেগুনী (ইউভি) এবং ইনফ্রারেড আলোর একটি কম্প্যাক্ট উৎস খুঁজে পেয়েছে। তা গ্যালাক্সির নির্গমনের কারণে হতে পারে না। তবে তা কৃষ্ণগহ্বরের উপর পড়া পদার্থ থেকে প্রত্যাশিত বিকিরণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

মহাকাশচারীদের মতে, তত্ত্ব এবং কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎবাণী করে ধূলিময়, প্রাথমিক নক্ষত্র গঠনের ছায়াপথগুলোতে দ্রুত বর্ধনশীল এই কৃষ্ণগহ্বরগুলো এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়নি।

কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিলস বোর ইনস্টিটিউটের জ্যোতির্বিজ্ঞানী সেজি ফুজিমোটো বলেন, সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায় যে জিএনজেট৭কিউ হলো মহাবিশ্বে পরিচিত প্রথম সুপারম্যাসিভ কৃষ্ণগহ্বরের যুগের কাছাকাছি এবং দ্রুত বর্ধনশীল স্টারবার্স্ট গ্যালাক্সির ধূলিময় কেন্দ্রের প্রথম কৃষ্ণগহ্বর।

মার্কিন গবেষণা সংস্থা বলছে, বর্তমান তত্ত্বগুলো ইঙ্গিত করছে এই সুপারম্যাসিভ কৃষ্ণগহ্বরগুলো আশেপাশের গ্যাস, ধূলিকণা এবং অত্যন্ত উজ্জ্বল কোয়াসার হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার আগে জোরালোভাবে নক্ষত্র গঠনকারী ‘স্টারবার্স্ট’ গ্যালাক্সিগুলোর ধুলো-ঢাকা কোরে তাদের জীবন শুরু করে। মূলত মহাবিশ্বের অত্যন্ত উজ্জ্বল এই বস্তুগুলো কৃষ্ণগহ্বর দ্বারা চালিত হয়।

মহাকাশচারীরা জানিয়েছেন, এটি অত্যন্ত বিরল কারণ এতে ধূলিময় স্টারবার্স্ট গ্যালাক্সি এবং উজ্জ্বল কোয়াসার উভয়ই শনাক্ত হয়েছে। দলটির বিশ্বাস জিএনজেট৭কিউ দুটি শ্রেণীর বস্তুর মধ্যে একটি উন্মোচিত না হওয়া সূত্রও হতে পারে।

সর্বশেষ এই আবিষ্কারটি মহাবিশ্বের প্রাথমিক দিনগুলোতে সুপারম্যাসিভ কৃষ্ণগহ্বরের দ্রুত বৃদ্ধি বোঝার দিকে একটি নতুন পথ উন্মোচন করবে।

তাই এখন দলটি উচ্চ রেজ্যুলেশন সমীক্ষা ব্যবহার করে একইরকম বস্তুগুলোর জন্য পদ্ধতিগতভাবে অনুসন্ধান করার এবং জিএনজেট৭কিউ এর মতো বস্তুগুলোকে বিস্তারিত অধ্যয়নের জন্য নাসা জেমস ওয়েব স্পেস টেলেস্কোপ-এর স্পেকট্রোস্কোপিক যন্ত্রগুলোর সাহায্য নেবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads