• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
শুটিং নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত তারকারা

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

শুটিং নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত তারকারা

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০২১

গেল বছরের করোনার ধাক্কার ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে উঠে শোবিজ অঙ্গন ফের সরব হয়ে উঠেছিল। আটকে থাকা কাজের পাশাপাশি নতুন কাজও চলছিল পুরোদমে। করোনা আতঙ্ক ভুলে অভিনয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছিলেন অভিনয়শিল্পীরাও। এমন অবস্থায় হঠাৎ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে পড়েছে বিনোদন অঙ্গন। করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে দোটানায় রয়েছেন নাটক-চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা। নাটক ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে শুটিং বন্ধ না করা হলেও শুটিং বন্ধ রাখতে সরকারের তরফ থেকে সরাসরি কোনো নির্দেশ না আসায় অভিনয় করা না করা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন তারকারা। আসন্ন ঈদের কাজ শুরু হয়েছে বেশ আগে। এ নিয়ে তোড়জোড় চলছে নাটকপাড়ায়। সময়ের চাহিদাসম্পন্ন অভিনয়শিল্পীদের হাতে রয়েছে উল্লেখযোগ্য নাটক। এর মধ্যে কিছু নাটকের শুটিং শেষ হলেও বাকিগুলোর কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। প্রতিদিন দেশব্যাপী করোনা আক্রান্ত ও নিহতের খবরের পাশাপাশি শোবিজে করোনা আক্রমণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারকারা। শুটিং বন্ধ না হলেও অনেক তারকা শিল্পীই শুটিং বন্ধ রেখেছেন নিরাপত্তার জন্য। আবার অনেকে কাজ একেবারে কমিয়ে দিয়েছেন। হাতে থাকা কাজের বাইরে নতুন কাজে যুক্ত হচ্ছেন না শিল্পীরা। আবার কেউ কেউ ঈদের আগপর্যন্ত শুটিং না করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন।

গত ২৯ মার্চ থেকে শুটিং বন্ধ রেখেছেন টিভি নাটকের শীর্ষ অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। অভিনয় করছেন না নাদিয়া আহমেদ। লকডাউনের কারণে সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখেছেন অভিনেতা মীর সাব্বির। ঈদের প্রায় ১২টি নাটক শেষ করে নতুন কাজে যুক্ত হচ্ছেন না এই অভিনেতা। ঈদের অনেকগুলো নাটকের কাজ ফিরিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা ড. ইনামুল হক। প্রতি রমজানে একুশে টিভির নিয়মিত ধারাবাহিক নাটকেও কাজ করেননি তিনি। একইভাবে ঈদের একাধিক নাটক-টেলিফিল্মের কাজ ফিরিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী আনোয়ারা। শুটিং আপাতত বন্ধ রাখা উচিত বলে মনে করছেন অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষ। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কভাবে শুটিং করছেন কেউ কেউ। অভিনয় করছেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। তিনি বলেন, অন্য কোনো পেশায় থাকলে হয়তো বিকল্প চিন্তা করতাম। কিন্তু অভিনয় যেহেতু পেশা, তাই কতদিনই আর ঘরে বসে থাকা যায়। শুটিং করলেও চেষ্টা করছি নিরাপদ থাকার। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন টিভি নাটকের নির্মাতারা। প্রতি ঈদে ছয়শ’র বেশি নাটক নির্মাণ হয়। গেল বছরের মতো এবারো লকডাউন ও করোনায় তার সংখ্যা অনেক কম থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, অনেক শিল্পী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমিও বাদ পড়িনি। এই সময়ে শুটিং করা বেশ ঝুঁকির। তবু আমরা শুটিং বন্ধ করিনি। আবার কাউকে উৎসাহও দিচ্ছি না শুটিং করতে। কারণ এই সময়ে সবারই কাজ করার তাড়া থাকে। তাই যারা বিধিনিষেধ মেনে কাজ করা সম্ভব তারা শুটিং করছেন। তবে আমি মনে করি এই সময়ে আমাদের ঘরে থাকা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads