মৌসুমী আক্তার সালমা। লোকসংগীতের লীলাকেন্দ্র কুষ্টিয়ায় জন্ম নেওয়ায় সালমার কণ্ঠে লোকসংগীতের প্রাণটিও পেয়েছেন সহজাত প্রতিভাবলেই। এনটিভি থেকে প্রচারিত সংগীতবিষয়ক প্রতিযোগিতা ক্লোজআপ ‘তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’-এর মধ্যদিয়ে তার সারা দেশের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এবার ঈদটা তেমন একটা ভালো কাটেনি সালমার। এই তারকা এখনো অসুস্থ। বলেন, ভালো নয়, খুবই খারাপ। জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি-কাশিতে ভুগে সারাদিন ঘরেই কাটিয়ে দিয়েছি ঈদটা। তার আগে থেকেই শুরু হওয়া এ অবস্থাটি এখনো রয়ে গেছে। তবে এখন একটু কম। কোনো প্রোগ্রাম করতে পারিনি এবারের ঈদে। দুটো প্রোগ্রাম করার কথা ছিল সেগুলোও করতে পারিনি। এখন তো ঘরে-বাইরে সব জায়গাতেই এই ঠান্ডার প্রকোপ চলছে।
এরমধ্যে সালমার ১৫-২০টি গান রেকর্ডিং করা হয়েছে। এগুলো জি-সিরিজ, সাউন্ডটেকসহ কয়েকটি নতুন প্ল্যাটফরম থেকে রিলিজ পাবে। এর আগে এই তারকার বেশকিছু গান প্রকাশ হয়েছে। যেমন- ‘কেমন মরদরে’, ‘যে পুড়েছে তোমার রূপে’, ‘তোমার প্রেমে জাদু আছে’, ‘রঙিলা সাগোই’, ‘তুমি প্রেম ও ফুল’সহ বেশকিছু গান। প্রতিটি গানই দর্শকের মধ্যে ভালো সাড়া পেয়েছে। নতুন গানগুলো নিয়ে আশাবাদী সালমা। বলেন, এখন যেগুলো প্রকাশের অপেক্ষায় আছে আশাকরি সেগুলোও দর্শকের মধ্যে ভালো সাড়া পড়বে। নতুন গানগুলো কেমন? সালমা বলেন, আমি এমনিতেই রয়েসয়ে বুঝেশুনে গান করি। যে গান প্রথমে একজন সাধারণ দর্শকের মতো আমার নিজের কান থেকে সাড়া পায় সেই গানগুলোই গাই। ফলে আমার সব গানই দর্শকের সাড়া পায়। আমার স্টেজ শোতে গেলেই বুঝবেন দর্শক কি রকম মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। এখন তো গানের জনপ্রিয়তা স্টেজ শো থেকেই বুঝে নিতে হয়। এখন মাইকে, সিডিতে, ক্যাসেট প্লেয়ারে গান শোনা যায় না; গান হাতের মুঠোয় চলে এসেছে- হেডফোনে, ইউটিউবে ঘুরছে গান। সেখানে কে কার গান শুনছে তাতো আলাদাভাবে বোঝার উপায় নেই; ভিউ দেখেই আন্দাজ করে নিতে হয় গানের জনপ্রিয়তা, ভালো-মন্দ সব। ইদানীং প্লে-ব্যাক কম করছেন। এর পেছনে বিশেষ কোনো কারণ আছে কিনা? জবাবে এই তারকা বলেন, প্লে-ব্যাক আমার এমনিতেই কম করা হয়েছে। তা ছাড়া এখন সিনেমাই তো কম হচ্ছে। ‘কথা দিলাম’ নামের সিনেমাতে ‘মনের দামে মন’ শিরোনামের একটি গানে কণ্ঠ দেওয়ার পর নতুন কোনো সিনেমায় কণ্ঠ দিইনি। দেখি, সামনে হয়তো নতুন কোনো সিনেমায় কণ্ঠ দেবো।