ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে কিশোর কুমারের গাওয়া ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে’ গানটি নতুন করে গেয়ে গোটা দেশে আলোড়ন তৈরি করেছিলেন কণ্ঠশিল্পী আকবর। এরপর তার প্রথম মৌলিক গান ‘তোমার হাত পাখার বাতাসে’ও পায় আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।
সেই আকবর এখন ভালো নেই। অবশ্য এখন নয়, অনেক বছর ধরেই তার দুরবস্থা চলছে। মাঝে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও ফের ভাগ্যের পরিহাসে সঙ্কটের মুখোমুখি আকবর। তার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় ভুগতে থাকা আকবরের পায়ে পচন ধরে গেছে। তার পা কেটেও ফেলা হতে পারে। গত দশ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন আকবর। আর ৫ বছর ধরে শরীরে বাসা বেঁধেছে জন্ডিস, রক্তের প্রদাহসহ নানা রোগ। এই গায়ক আবারো অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চলছে তার চিকিৎসা। গত বুধবার তাকে সেখানে ভর্তি করানো হয়। গত বৃহস্পতিবার তার ডান পায়ে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তার এ পা কেটে ফেলতে হতে পারে! গত শুক্রবার চিকিৎসকের বরাত দিয়ে এসব কথা বলেন আকবরের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। এদিকে গত শুক্রবার আকবরের মেয়ে জানিয়েছেন এই গায়কের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
আকবরের কন্যা বলেন, ‘আব্বুর অবস্থা খুবই খারাপ। দুইটা কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। আর কিডনির অবস্থা খারাপ হওয়ায় শরীরে পানি জমেছিল। পানি জমার কারণে আব্বুর ডান পা নষ্ট হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার ডান পায়ের অপারেশন হয়েছে। ডাক্তার বলছে পা কেটে ফেলে দিতে হবে। এখনো বলা যাচ্ছে না পা বাঁচানো যাবে কি না। তাছাড়া আব্বুর শরীরে আরো অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে আব্বুর অবস্থা খুবই বিপজ্জনক। সবাই আমার আব্বুর জন্য দোয়া করবেন।’ চলতি বছরের মে মাসে আকবরের পায়ের অস্ত্রোপচার করা হয়। তারপর বেশ ভালো ছিলেন। মাঝের চার মাসে স্টেজ শো পর্যন্ত করেছেন। আকস্মিকভাবে তার পায়ে পানি জমতে থাকে। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বলে রাখা প্রয়োজন, আকবর মূলত যশোরে রিকশা চালাতেন। কিন্তু তার কণ্ঠে ছিল সুর। সেই সুরের জাদুতে তিনি বিভিন্ন স্থানীয় অনুষ্ঠানে ডাক পেতেন। এক পর্যায়ে তাকে খুঁজে বের করে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। সেখানেই তিনি গান পরিবেশন করে পরিচিতি পান।
