• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

বাণিজ্য

বাংলাদেশি বিনিয়োগ চায় পাকিস্তান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ নভেম্বর ২০২০

পাকিস্তানে বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশি শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী।

অর্থনীতির সব কটি সূচকে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়ে গত প্রায় এক দশক ধরেই নানা আলোচনা আছে। এর মধ্যে এই আহ্বান এল।

ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী জানান, চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর (সিপিইসি) ব্যবহার করে স্বল্প সময় ও খরচে চীন, মধ্য এশিয়ার দেশ ও রাশিয়ায় পণ্য পরিবহন করা যাবে। পাকিস্তানে বিনিয়োগ করে এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন বাংলাদেশি শিল্প উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের কথা আলাদা করে উল্লেখ করেন পাকিস্তানি দূত। বলেন, বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি ও এ খাতসংশ্লিষ্ট সেবা খাতে বেশ দক্ষতা ও সফলতা অর্জন করছে। এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো পাকিস্তানে বিনিয়োগ করতে পারে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তবে এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো নিরসন হওয়া দরকার।

ডিসিসিআই সভাপতি পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য, তথ্য-প্রযুক্তি সেবা, সিরামিক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিখাদ্য এবং আরো বেশি ওষুধ আমদানির আহ্বান জানান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি দুই দেশের চেম্বারগুলোর মধ্যকার যোগাযোগ সংহত করার পাশাপাশি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ, বাণিজ্য মেলা, বিটুবি, রোড-শো আয়োজনেরও প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার ওপরও জোর দেন তিনি।

পাকিস্তান হাইকমিশনারও তার দেশ থেকে শিল্পে ব্যবহূত কাঁচামাল ও টেক্সটাইল পণ্য আমদানির আহ্বান জানান।

মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কে এ মবিন, সহসভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আফসারুল আরিফিন, সচিব জয়নাল আব্দীন, পাকিস্তান দূতাবাসের কমার্শিয়াল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সুলেমান খান, কমার্শিয়াল অ্যাসিটেন্ট গোলাম নবী প্রমুখ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার।

এর মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করে পাঁচ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য। অন্যদিকে পাকিস্তান রপ্তানি করে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার ডলারের পণ্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads